ছয় বছর পর এফ এ কাপের ফাইনালে সিটি
ম্যাচের চার মিনিট না পেরোতেই উড়ন্ত এক হেডে ম্যানচেস্টার সিটিকে এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। গ্যাব্রিয়েল হেসুসের সেই গোলের পর মনে হচ্ছিল, ব্রাইটনের বিপক্ষে হয়ত আরো অনেক গোলই আসবে শেষ বাঁশি বাজার আগে। তবে তেমন কিছুই ঘটল না ওয়েম্বলিতে। এফ এ কাপের সেমিতে হেসুসের একমাত্র গোলেই জিতেছে সিটি। কারাবাও কাপ জেতার পর এবার ছয় বছর পর এফ এ কাপের ফাইনালেও উঠে গেলো সিটিজেনরা।
ম্যাচের শুরুতেই কেভিন ডি ব্রুইনের দারুণ এক ক্রসে বল জালে জড়িয়ে সিটি ডাগআউটকে আনন্দে ভাসান হেসুস। এর ১০ মিনিটের মাঝেই আরও দুই গোল পেতে পারত সিটি, হেসুস ও নিকোলাস অটামেন্ডির শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সুযোগ এসেছিল ব্রাইটনের সামনেও। ঘড়িতে তখন আধ ঘণ্টা পেরিয়েছে, শেন ডাফির দারুণ একটি হেড পোস্ট ঘেঁষে চলে গেলে হাপ ছেড়ে বাচে সিটি রক্ষণভাগ। এর পরপরই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে পারতেন সিটির কাইল ওয়াকার। ভিএআরের কল্যাণে শুধু হলুদ কার্ড দেখেই বেঁচে যান।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে অ্যান্থনি নকার্টের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে গেলে সমতা ফেরানো হয়নি ব্রাইটনের। দ্বিতীয়ার্ধেও কম চেষ্টা করেনি তারা। প্রথমার্ধের মতো ৫৪ মিনিটে আবার হতাশ হতে হয় ডাফিকে, এবার তার শট ঠেকিয়েছেন সিটি কিপার। ইলকায় গুন্ডোগান ও রহিম স্টার্লিংকে গোলবঞ্চিত করেছেন ব্রাইটন কিপার রায়ান। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তেও স্টার্লিংকে গোল করতে দেননি তিনি।
শেষ পর্যন্ত হেসুসের গোলটাই সিটির জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়েছে। ২০১৩ সালের পর আবার এফ এ কাপের ফাইনালে উঠল সিটি, এই নিয়ে ১১ বার ফাইনালে খেলবে সিটিজেনরা। নবম দল হিসেবে একই মৌসুমে কাপ ও এফ এ কাপের ফাইনালে উঠল তারা। এই মৌসুমে সিটি প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছেন ২০ বার, ২০১১-১২ মৌসুমে চেলসিও করেছিল এমনটা। এটাই এফ এ কাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।