• বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
  • " />

     

    চলে গেলেন স্কটল্যান্ডের ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক

    চলে গেলেন স্কটল্যান্ডের ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক    

     

    মরণব্যধির সঙ্গে যুদ্ধটা চলছিল অনেক দিন ধরেই। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে সেই যুদ্ধে হার মানলেন স্কটল্যান্ডের বাঁহাতি স্পিনার কন ডে ল্যাং। ব্রেইন টিউমারে আজ অন্যলোকে পাড়ি জমিয়েছেন মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই।

    খুব বেশিদিন আগে নয়, ২০১৭ সালেও স্কটল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন। পাপুয়া নিউগিনির সঙ্গে সেই ম্যাচের পর মরণব্যধি আর মাঠে নামতে দেয়নি তাঁকে। আট টি-টোয়েন্টি আর ১৩ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে একবারই পেয়েছেন ৫ উইকেট। ২০১৭ সালের জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচটা স্কটল্যান্ডের ইতিহাসেই আলাদা জায়গা পাবে। আইসিসির কোনো পূর্ণ সদস্যের বিপক্ষে সেটাই ছিল স্কটল্যান্ডের প্রথম জয়।

    দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্ম নিয়েছেন ল্যাং, সেখানেই দীর্ঘদিন খেলেছেন ঘরোয়া ক্রিকেট। একটা সময় নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলা শুরু করেছেন। ২০১২ সাল থেকে স্কটল্যান্ডে থিতু হয়েছেন, ২০১৫ সালে হয়েছে আন্তর্জাতিক অভিষেক।

     

     

    ব্রেইন টিউমারের সঙ্গে যুদ্ধে সবরকম চিকিৎসাই নিয়েছিলেন ল্যাং। কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচারও করিয়েছেন। গত বছর তাঁর চিকিৎসার জন্য ক্রিকেট স্কটল্যান্ড একটা তহবিল গড়ারও উদ্যোগ নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সবার চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ ঢলে পড়লেন মৃত্যুর কোলে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ক্রিকেট স্কটল্যান্ডের চেয়ারম্যান টনি ব্রায়া। জেপি ডুমিনি, ডেভিড উইলিদের মতো বর্তমান আর অ্যালান ডোনাল্ডের মতো সাবেক ক্রিকেটাররাও তাঁকে স্মরণ করেছেন।