'আনন্দবর্ধক' ড্রাগ নেওয়ায় নিষিদ্ধ হেলস
আনন্দবর্ধক বা 'রিক্রিয়েশনাল' ড্রাগ নেওয়ার দায়ে ২১ দিনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন ইংলিশ ও নটিংহ্যামশায়ার ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলস। বর্তমানে এই নিষেধাজ্ঞার ভেতর তিনি আছেন বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান। এর আগে তিনি ‘ব্যক্তিগত কারণে অনির্দিষ্ট ছুটি’তে গেছেন বলে জানিয়েছিল তার কাউন্টি নটিংহ্যামশায়ার। কাউন্টি মৌসুম শুরু হওয়ার আগে নিয়মিত ড্রাগ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছেন হেলস, যে টেস্টে ধরা পড়ে প্রায় তিন মাস আগের নিষিদ্ধঘোষিত কোনও বস্তু গ্রহণের চিহ্নও।
মৌসুম শুরুর আগে ইসিবির অধীনে চুক্তিবদ্ধ সব ছেলে ও মেয়ে ক্রিকেটারকে এই ‘হেয়ার ফলিকল’ টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। প্রথমবার কেউ পজিটিভ প্রমাণিত হলে তাকে ব্যক্তিগতভাবে পুনর্বাসনে সহায়তা করে প্রফেশনাল ক্রিকেটারস অ্যাসোসিয়েশন ও ওই কাউন্টির চিফ মেডিকেল অফিসার। সেটা রাখা হয় গোপন।
তবে দ্বিতীয়বার এই টেস্টে পজিটিভ হলে শুধু পুনর্বাসনে থেমে থাকে না প্রক্রিয়াটা, এবার সেই ক্রিকেটারকে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে দেওয়া হয় বার্ষিক বেতরের ৫ শতাংশ জরিমানার শাস্তি। সঙ্গে জানানো হয় সেই ক্রিকেটারের কাউন্টি, ইসিবি ও পিসিএ-এর প্রধান নির্বাহীকে। হেলস দ্বিতীয়বার এই টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হলেন।
২০১৩ সালে সারে ক্রিকেটার টিম মেনার্ডের মৃত্যুর পর থেকে এই আনন্দবর্ধক ড্রাগ টেস্টের ব্যবস্থা করেছে। তৃতীয়বার কেউ এই টেস্টে ধরা পড়লেই শুধু তাকে ১২ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে, সঙ্গে ইসিবিও তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করবে। আপাতত ইসিবির ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট অ্যাশলি জাইলসের সঙ্গে এই তথ্য ভাগাভাগি করতে হবে হেলসকে।
অবশ্য গার্ডিয়ান বলছে, হেলস কবে এই নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন সেটা নিশ্চিত নয়। সাধারণত যেদিন ড্রাগ টেস্টের ফলে পজিটিভ প্রমাণিত হন কেউ, সেদিন থেকেই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। তাদের মতে ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ মে প্রথম ওয়ানডের আগেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে যেতে পারে হেলসের।
বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জ্যাসন রয় ও জনি বেইরস্টোর পর দ্বিতীয় পছন্দের ওপেনার হিসেবেই থাকার কথা হেলসের, অবশ্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জস বাটলার, বেন স্টোকস, জনি বেইরস্টো ও মইন আলিকে বিশ্রাম দেওয়ায় খেলার কথা হেলসের। নিষেধাজ্ঞার ভেতর থাকলেও হেলস সামনেই কার্ডিফে ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন বলেও জানানো হয়েছে।
এদিকে গার্ডিয়ানে এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর হেলসের এক মুখপাত্র তাদের জানিয়েছেন, “গত বছর মাঠের বাইরের এক ঘটনার কারণে আপাতত নিষিদ্ধ আছেন তিনি। ঘটনাটি ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলে শাস্তি মেনে নিয়েছেন। পরের সপ্তাহে ইংল্যান্ডের প্রস্তুতি ক্যাম্পে তিনি যোগ দেবেন, দলে নির্বাচনের জন্য বিবেচ্য হবেন। পুরো গ্রীষ্মেই ইংল্যান্ড ও নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে খেলার জন্যই তাকিয়ে আছেন এবং নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।”
এর আগে ২০১৭ সালে ব্রিস্টলের এক নাইটক্লাবে মারামারির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন হেলস ও স্টোকস। স্টোকসকে শান্তিভঙ্গের দায়ে আদালতে যেতে হলেও হেলসের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হয়নি। অবশ্য অভ্যন্তরীণভাবে এর তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসিবি।