নিষেধাজ্ঞার 'ক্ষোভটা' বিশ্বকাপে ঝাড়বেন ওয়ার্নার: ফিঞ্চ
বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে হারিয়েছিলেন সহ অধিনায়কের পদ, হয়েছিলেন এক বছর নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে খেলায় ফিরেছেন ডেভিড ওয়ার্নার, আছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও। বিশ্বকাপে তার সম্ভাব্য ওপেনিং পার্টনার ও দলের অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ বলছেন, গত এক বছরে ওয়ার্নারের মনে যে ক্ষোভ জমা হয়েছে, সেটার ঝড় যাবে বোলারদের ওপর দিয়েই।
গতবার নিষেধাজ্ঞার কারণে আইপিএল খেলতে পারেননি ওয়ার্নার। এবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ফিরেই ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন। ১৪৪ স্ট্রাইক রেট ও ৬৯ গড়ে করেছেন ৬৯২ রান। আইপিএল মিশন শেষ করে জাতীয় দলের সাথে প্রস্তুতি নিতে দেশে ফিরেছেন ওয়ার্নার, ফিরেছেন স্টিভ স্মিথও।
ফিঞ্চ বলছেন, এক বছরের নিষেধাজ্ঞায় যে ক্ষোভ জমা হয়েছে ওয়ার্নারের মনে, সেটা বিশ্বকাপেই ঝাড়বে তার ব্যাট, ‘নিষেধাজ্ঞা শেষে সে একটা বড় ক্ষুধা নিয়ে ফিরেছে। শুধু আইপিএলে নয়, বিশ্বকাপেও এটা দেখা যাবে। যখন এক বছর আপনাকে নিজের স্বপ্ন থেকে দূরে রাখা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই একটা ক্ষোভ জমা হয়। সেই ক্ষোভটাই পোড়াচ্ছে তাকে। বিশ্বকাপে তার ব্যাটেই এটার বহিঃপ্রকাশ হবে।’
টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি; জাতীয় দলে এমন অনেক ক্রিকেটারই আছেন যাদের তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত খেলতে হয়। বিশ্বকাপে সময় তাঁরা নিজেদের ফিটনেস ও মনোযোগটা সবসময় ধরে রাখতে পারবেন, এমনটাই আশা ফিঞ্চের, ‘যারা তিন ফরম্যাটেই খেলেন, তাদের আমি খুব বেশি শ্রদ্ধা করি। কিছু বছর আগে আমিও এটা করতে পারতাম না। অ্যাশেজ সিরিজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই ওয়ানডে খেলতে নামেন সবাই। এত ক্লান্তিকর এক সিরিজের পরে সবাই যেভাবে মনোযোগ ধরে রাখে, সেটা এক কথায় অবিশ্বাস্য। জাতীয় দলের হয়ে খেলা বরাবরই গৌরবের ব্যাপার। তবে টানা ক্রিকেট খেললে ক্লান্তিটা আসাই স্বাভাবিক। পরিবারের সাথে সময় না কাটিয়ে, বাড়ি না গিয়ে, বিশ্রাম না নিয়ে সবাই যেভাবে টানা ক্রিকেট খেলে, এটা দারুণ ব্যাপার।’