• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে মিস করেন না ডি ভিলিয়ার্স

    আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে মিস করেন না ডি ভিলিয়ার্স    

    শেষবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন গত বছরের মার্চে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই টেস্টটাই দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্সের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলেই সময় কাটছে তাঁর। ডি ভিলিয়ার্স বলছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে একটুও মিস করেন না তিনি!

    এবারের বিশ্বকাপে খেলার কথা ছিল তাঁরও। তিনি নিজেও বেশ কয়েকবার বলেছিলেন, ইংল্যান্ড বিশ্বকাপটা খেলেই অবসরে যেতে চান। গত বছর অনেকটা আকস্মিকভাবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলেন এবি। এরপর শুধু পিএসএল, বিপিএল, আইপিএলই খেলছেন।

    লাইভমিন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এবি বলছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলাটাই বেশি উপভোগ করছেন তিনি, ‘আমাকে ভুল বুঝবেন না, তবে আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে মিস করি না। নিজের ক্যারিয়ারের অনেক ভালো স্মৃতি আছে। দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার মতো গর্বের কাজ আর কিছুই নেই, এটা আমি ১৪ বছর ধরে করেছি। কিন্তু এখন সেটা মিস করছি না। এই মুহূর্তে আমি খুবই সুখে আছি, উপভোগ করছি সবকিছু।’

    আরও কিছুদিন কি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলতে পারতেন না? এবি বলছেন, সঠিক সময়েই বিদায় বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ‘পরিবারের সাথে সময় কাটাতে পেরে খুবই ভালো লাগে। আগে যে পরিমাণ ক্রিকেট খেলাতাম, এখন তাঁর অর্ধেক খেলি। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন এই ক্রিকেট খেলাকে বেশি উপভোগ করছি। অবসরের সিদ্ধান্তটা সঠিক ছিল। তবে জাতীয় দল, সতীর্থ, সমর্থকদের সামনে খেলা মিস করি কিছুটা।’

    বিশ্বজুড়ে অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই খেলেছেন এবি। তবে আইপিএলই সবার সেরা, মানছেন তিনি, ‘আসলে আইপিএলের ধারে কাছে কেউ নেই। আমি জানি ভারতে বসে এসব বলা সহজ। কিন্তু আমি পৃথিবীর অনেক লিগেই খেলেছি। আইপিএল তো বিশ্বকাপের (কোন বিশ্বকাপ সেটা পরিষ্কার করেননি এবি) চেয়েও ভালো! প্রথম পাঁচ বছর অবশ্য এমন ছিল না। এখন এটা অবিশ্বাস্য এক টুর্নামেন্টে পরিণত হয়েছে।’

     

     

    বিশ্বকাপের আর একমাসও বাকি নেই। অবসর না নিলে প্রোটিয়াদের হয়ে খেলতে পারতেন ডি ভিলিয়ার্সও। সতীর্থরা যখন সবাই বিশ্বকাপে খেলবে, তখন তাঁর কেমন লাগবে? এবি বলছেন, বিশ্বকাপে খেলতে পারলে তাঁর ভালোই লাগতো, ‘১৪ মাস আগেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিশ্বকাপে খেলব না। যদিও মাঠে নামতে পারলে ভালোই লাগতো। তবে আমি যদি বিশ্বকাপে খেলতাম, তাহলে সেটা অন্যদের সাথে অন্যায় হতো। এজন্যই আমি স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়িয়েছি। এটা নিয়ে আসলে আমার কোন আক্ষেপ নেই।’