• ইউরো বাছাইপর্ব
  • " />

     

    ৪ বছর পর স্পেনের হয়ে ডাক পেলেন কায়োরলা

    ৪ বছর পর স্পেনের হয়ে ডাক পেলেন কায়োরলা    

    ক্যারিয়ারটা শেষ হতে বসেছিল কয়েকদিন আগেও। সঙ্গে ছিল পা হারিয়ে ফেলার শঙ্কাও। কিন্তু ১১ সার্জারি আর অসংখ্য অ্যান্টিবায়োটিক ট্রিটমেন্টের পরও ফুটবলে ফিরেছিলেন সান্তি কায়োরলা। সবকিছু জয় করে এক মৌসুম প্রায় খেলে ফেলেছেন ভিয়ারিয়ালের হয়ে। ইনজুরির বিপক্ষে যুদ্ধ জয়ের পুরস্কারটাও পেলেন কায়োরলা। এবার ৩৪ বছর বয়সে এসে আবারও তার জন্য খুলে গেল জাতীয় দলের দুয়ার। আগামী মাসে সুইডেন আর ফারো আইল্যান্ডের বিপক্ষে স্পেনের ইউরো বাছাইপর্বের জন্য ঘোষণা করা ২৩ সদস্যের দলে আছেন কায়োরলা। ৪ বছর পর আবার জাতীয় দলে ডাক পেলেন এই মিডফিল্ডার।


    এই মৌসুমের শুরুতেই আর্সেনাল ছেড়ে ভিয়ারিয়ালের ফিরে গিয়েছিলেন কায়োরলা। তার আগের দুই বছর পুরোটাই কাটিয়েছেন বেঞ্চে বসে। ইনজুরির কারণে মাঠে নামা হয়নি তার। ৬৩৬ দিন বিরতির পর ইয়েলো সাবমেরিনদের হয়ে খেলতে নেমেছিলেন কায়োরলা। দলের রেলিগেশন বাঁচানোতেও বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি।

    ইনজুরি সম্পর্কে কায়োরলা নিজেই জানিয়েছিলেন, জীবানুর আক্রমণে গোঁড়ালির টেন্ডনের ৮ সেন্টিমিটার ক্ষয় গিয়েছিল তার। এরপর আরও ভয়াবহ জীবানুর আক্রমণের খবর পান তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকে। একটা সময়ে পা হারানোর শঙ্কার কথাও চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন তাকে। পরে সার্জারির সময় দেখা যায় ৮ নয়, ১০ সেন্টিমিটার টেন্ডন ক্ষয় হয়ে গেছে কায়োরলার। দুই বছরে মোট ১১ টি সার্জারি ও অসংখ্য অ্যান্টিবায়োটিক ট্রিটমেন্টের পর ধীরে ধীরে আবার সুস্থ্য হয়ে ওঠেন কায়োরলা।

     

     

    স্পেনের হয়ে ৭৭টি ম্যাচ খেলেছেন কায়োরলা। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ প্রীতি ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। আগামী মাসের ৮ তারিখে ফারো আইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে স্পেন, আর তিনদিন পর ঘরের মাঠে স্পেনের ম্যাচ সুইডেনের বিপক্ষে। স্পেন কোচ লুইস এনরিকের দলে চমক নেই তেমন, তবে দলে জায়গা হয়নি ডিয়েগো কস্তার। দানি কারভাহালের সুযোগ হয়নি ইনজুরির কারণে।

    গোলরক্ষক
    ডেভিড ডি গিয়া, কেপা আরিজাবালাগা, পল লোপেজ
    ডিফেন্ডার
    সার্জিও রামোস, ইয়োরেন্তে, কারভাহাল, হেরমোসো, মার্টিনেজ, গায়া, আলবা,
    মিডফিল্ডার
    সার্জিও বুস্কেটস, সান্তি কায়োরলা, সার্জি রবার্তো, হেসুস নাভাস, রদ্রি, পারেহো, ফাবিয়ান, অয়ারজাবাল, রদ্রিগো
    ফরোয়ার্ড
    আলভারো মোরাতা, মার্কো আসেনসিও, ইস্কো, ইয়াগো আসপাস