• এফ এ কাপ
  • " />

     

    রেকর্ড গড়া ইংলিশ ট্রেবল জিতে থামল গার্দিওলার সিটি

    রেকর্ড গড়া ইংলিশ ট্রেবল জিতে থামল গার্দিওলার সিটি    

    ইংলিশ লিগ কাপ জিততে টাইব্রেকার পর্যন্ত জিততে হয়েছিল চেলসির বিপক্ষে, প্রিমিয়ার লিগ ধরে রাখতেও শেষদিন পর্যন্ত লিভারপুলের সঙ্গে টেক্কা দিতে হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটিকে। ওই দুই শিরোপার পর এফএ কাপটা সিটিজেনরা জিতে গেল হেসে খেলে। ওয়াটফোর্ডকে ৬-০ গোলে হারিয়ে ইংল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘরোয়া ট্রেবল পূর্ণ করলো পেপ গার্দিওলার ম্যান সিটি। ওয়েম্বলিতে আরও একটি রেকর্ড ছুঁয়েছে সিটিজেনরা, এফএ কাপের ইতিহাসে ফাইনালে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডটা এখন ডার্বি কাউন্টির সঙ্গে তাদেরও।

    রাহিম স্টার্লিং ও গ্যাব্রিয়েল হেসুস করেছেন জোড়া গোল। বাকি দুইটি ডেভিড সিলভা, কেভিন ডি ব্রুইনের। ৮ বছর পর এফএ কাপের শিরোপাটা তাই সিটিজেনরা জিতেছে আরাম আয়েশ করেই। সেটাও তাদের মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা সার্জিও আগুয়েরোকে ছাড়াই। পুরো ম্যাচে আর্জেন্টাইনকে মাঠেই নামাননি গার্দিওলা।

    ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে সিটির গোল উৎসবের শুরু ২৬ মিনিটে। কিন্তু এর আগে একটা আক্রমণ ওয়াটফোর্ড ম্যানেজার হাভি গার্সিয়াকে আক্ষেপে পোড়াবে অনেকদিন। গোলশূন্য থাকা অবস্থায় রবার্তো পেরেইরা গোলের সামনে গিয়ে হেলায় হারিয়েছেন দারুণ এক সুযোগ। এডারসন সহজেই ঠেকিয়ে দিয়েছেন তার শট। নইলে ম্যাচের গল্পটা হয়ত অন্যরকমও হতে পারত ওয়াটফোর্ডের জন্য।

    সিক্স ইয়ার্ড বক্সের মাথায় বামদিকে বল রিসিভ করে কোণাকুণি ফিনিশে গোল করে খাতা খুলেছিলেন সিলভা। ৩৮ মিনিটে নিজের প্রথম গোল করে হেসুস ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। বিরতির সময় ২-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও তাতে মন ভরছিল না পেপ গার্দিওলার। মিডফিল্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে ৫৫ মিনিটে তিনি প্রথমার্ধে দারুণ খেলা রিয়াদ মাহরেজকে তুলে নেন। তার জায়গায় নামান কেভিন ডি ব্রুইনকে। সিটির বড় জয়ের গল্পটা এরপর তার হাত ধরেই এসেছে।


    মাঠে নামার কিছুক্ষণ পরই গোল করেন ডি ব্রুইন। হেসুসের কাছ থেকে বল পেয়েছিলেন ডিবক্সের ভেতর। সামনে ছিল গোলরক্ষক হুলারিও গোমেজ আর ওয়াটফোর্ডের এক ডিফেন্ডার। দুইজনকে কাটিয়ে মাথা ঠান্ডা করে ফাঁকা বারে বল জড়ান তিনি। ডি ব্রুইনকে নামানোর যে উদ্দেশ্য ছিল গার্দিওলার, সেটাও সফল। গোলের সঙ্গে আক্রমণেও ধার বাড়িয়ে সিটির জয়টা তখন সময়ের ব্যাপার বানিয়ে ফেলেছিলেন ডি ব্রুইন। এরপর গ্যাব্রিয়েল হেসুস আবার গোল করেন। ৪-০ তে পিছিয়ে ওয়াটফোর্ড তখন কেবল শেষ বাঁশির অপেক্ষাতেই ছিল।

    কিন্তু সেই অপেক্ষাটাই তাদের জন্য দীর্ঘ হলো আরও। বের্নার্দো সিলভার বাম দিক থেকে করা ক্রসে ফারপোস্ট থেকে সহজ ট্যাপ ইনে দ্বিতীয় গোল করলেন স্টার্লিং। আর ৮৭ মিনিটে গোমেজ একবার ফিরিয়েও দিয়েও আর পারলেন না স্টার্লিংয়ের সঙ্গে। ফিরতি শটে গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করলেন স্টার্লিং।

    সাবেক টটেহাম গোলরক্ষক নেমেছিলেন ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে। সে ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ভুলে যাওয়ার মতো হলো গোমেজের জন্য। তবে তিনি চাইলে সিটির এবার এফএ কাপের রেকর্ডে চোখ বুলিয়ে আসতে পারেন। তাতে যদি একটু দুঃখ কমে। সেখানে একমাত্র স্বস্তি পাবেন ব্রাইটন গোলরক্ষক। তিনি ছাড়া আর সব দলের বিপক্ষেই অন্তত তিনটি করে গোল আছে সিটির। ৭, ৫, ৪, ৩, ১ এরপর শেষ ম্যাচে সিটির গোল ৬।