• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    ধোনির গ্লাভসে 'সামরিক প্রতীক' : বিসিসিআইয়ের অনুরোধে আইসিসির 'না'

    ধোনির গ্লাভসে 'সামরিক প্রতীক' : বিসিসিআইয়ের অনুরোধে আইসিসির 'না'    

    ভারতীয় উইকেটকিপার মাহেন্দ্র সিং ধোনির ‘বিশেষায়িত’ গ্লাভসের ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের অনুরোধ নাকচ করে দিয়েছে আইসিসি। 'সামরিক বাহিনীর প্রতীক' সম্বলিত এই গ্লাভস পরার অনুমতির জন্য ভারতের ক্রিকেট বোর্ড আইসিসিকে যে চিঠি দিয়েছিল, তার জবাবে আইসিসি বলেছে, ধোনি আইসিসির ‘ক্লোথিং ও ইকুইপমেন্ট’ রেগুলেশনের দুটি ধারা ভঙ্গ করেছেন, বলছে ইএসপিএনক্রিকইনফো। 

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উইকেটকিপিংয়ের সময় সবুজ রঙা এই গ্লাভস পরেছিলেন ধোনি। যার পেছনে আছে ‘ছুরি’র মতো একটি প্রতীক, ভারতের টেরিটোরিয়াল আর্মির যে রেজিমেন্টের সাম্মানিক লেফট্যানেন্ট কর্নেল ধোনি, সেই প্রতীক সেই রেজিমেন্টের প্রতীকের মতো। 

    আইসিসির রেগুলেশনের যে ধারা ধোনি ভঙ্গ করেছেন, সেখানে উল্লেখ আছে, “ক্রিকেটার ও অফিশিয়ালদের আর্ম ব্যান্ড বা পোশাকের সঙ্গে যুক্ত কোনও কিছু পরা, প্রদর্শন বা অন্য কোনো মাধ্যমে এমন কোনও বার্তা দেওয়া যাবে না, যদি না সেটা খেলার আগেই দুই দলের বোর্ড ও আইসিসির অপারেশনস বিভাগ থেকে অনুমোদিত না হয়। তবে রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক কোনো বার্তার অনুমোদন দেওয়া হবে না।” 

     

     

    আর বিশ্বকাপে প্লেয়িং কন্ডিশনে ক্লোথিংয়ের রেগুলেশনে উইকেটকিপিং গ্লাভসের ব্যাপারে বলা আছে, এর পেছনে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের শুধু দুইটি লোগো থাকতে পারবে। ওই গ্লাভস ব্যবহার করে ধোনি ভঙ্গ করেছেন সে নিয়মও। 

    রেগুলেশন অনুযায়ী, আইসিসির নিষেধ সত্ত্বেও ধোনি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ সেই গ্লাভস পরলে প্রথমে তাকে ভর্ৎসনা করা হবে। এরপর ১২ মাসের মধ্যে এমন করলে তার ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ, তৃতীয়বার করলে ৫০ শতাংশ ও চতুর্থবার করলে ৭৫ শতাংশ জরিমানা করা হবে। 

    অবশ্য ক্রিকইনফো বলছে, ধোনি সেই গ্লাভস পরেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নামলেও সেই বিশেষ প্রতীকটা টেপ দিয়ে ঢেকে রাখবেন। 

     

     

    এর আগে ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে সাউদাম্পটন টেস্টে ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার মইন আলি হাতে ‘সেভ গাজা’ ও ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ লেখা দুটি রিস্টব্যান্ড পরে নেমেছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড সেটার অনুমতি দিলেও আইসিসি মইনের সেই রিস্টব্যান্ড নিষিদ্ধ করেছিল।