• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    নিশমের দিনে রশিদ-দুঃসংবাদ পেল আফগানিস্তান

    নিশমের দিনে রশিদ-দুঃসংবাদ পেল আফগানিস্তান    

    আফগানিস্তান ৪১.১ ওভারে ১৭২ (শহিদি ৫৯, জাজাই ৩৪, নুর আলী ৩১; নিশম ৫/৩১, ফার্গুসন ৪/৩৭)

    নিউজিল্যান্ড ২৯.৪ ওভারে ১৭৩/৩ (উইলিয়ামসন ৭৯, টেলর ৪৮; আফতাব ৩/৪৫)

    ফলঃ নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী


    বল হাতে নিউজিল্যান্ডের হয়ে পাঁচ উইকেট ছিল না কখনো। এমনকি বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের ম্যাচটাও ভালো যায়নি। কিন্তু জিমি নিশম আজ যেন দুর্বোধ্য হয়ে উঠলেন, তার তোপেই দুইশর নিচে গুটিয়ে গেল আফগানিস্তান। সেই রান নিয়েও লড়তে পারত হয়তো, যদি থাকতেন রশিদ খান। মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়ার পর আর বলই করতে পারেননি। পরাজয়ের চেয়েও আফগানিস্তানের বেশি দুশ্চিন্তা থাকবে সেটি নিয়েই।

    এমনিয়েই শাহজাদ নেই, ওপেনিংয়ে আজ জাজাইয়ের সঙ্গী হয়েছেন নুর আলী জাদরান। শুরুটা দারুণ হয়েছিল তাদের, ১০ ওভারের মধ্যে তুলে ফেলেছিলেন ৬৬ রান। ম্যাট হেনরির ওপরেই বেশি গেছে তোপ। ১১তম ওভারে নিশম দিলেন ব্রেকথ্রু, দুইবার জীবন পাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত ৩৪ রানে আউট হয়ে গেলেন জাজাই।

    পরের ওভারেই ফার্গুসনের বলে আউট নুর আলী জাদরান, ৩১ রান করে। পরের ওভারে রহমত শাহকেও ফেরালেন নিশম, ৬৬ রানেই তিন উইকেট হারাল আফগানিস্তান। খানিক পর নাইবের বিদায়ে তা হয়ে গেল ৪ উইকেটে ৭০ রান। এবারও ঘাতক নিশম। শহিদি ও নবী কিছুক্ষণ ব্যাটিং করলেন, তবে নবীকে আউট করে জুটিটা বাঁধলেন নিশমই। পেলেন নিজের চতুর্থ উইকেট। এবারও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছেন লাথাম। আর নজিবুল্লাহ জাদরানকে আউট করে নিশম পেলেন পাঁচ উইকেট। বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের হয়ে পাঁচ উইকেটের কীর্তি খুব বেশি বোলারের নেই। রিচার্ড হ্যাডলি, শেন বন্ড, টিম সাউদি ও বোল্টদের সঙ্গে সেই অভিজাত ক্লাবে ঢুকে গেলেন নিশম।

    এরপর শহিদি ও আফতাম আলম মিলে একটু চেষ্টা করলেন পালটা আক্রমনের, তাতে ১৪৭ পর্যন্ত গেল আফগানিস্তান। আফতাবের আউটে দিনের পঞ্চম ক্যাচটা ধরলেন লাথাম, দিনে নিজের পঞ্চম ক্যাচটাও হলো। এরপর হামিদ হাসানকে নিয়ে কিছুক্ষণ লড়ে গেলেন শহিদি, ১৭২ রান পর্যন্ত গেল দল। শহিদি তার আগেই ফিফটি পেয়েছেন, তবে লাথামের বিশ্বরেকর্ড আর ছোঁয়া হয়নি।

     

     

    তবে তার আগেই বড় দুঃসংবাদটা পেয়েছে আফগানিস্তান। ফার্গুসন বল করছিলেন ৩৪তম ওভারে, তাঁর বুলেট গতির বাউন্সারটা ঠিকঠাক বুঝতে পারেননি রশিদ। লেংথ ভুল করে নিচু হয়ে গিয়েছিলেন, সেটি এসে লাগে রশিদের হেলমেটে। সেখান থেকে গড়িয়ে ভেঙে দেয় স্টাম্প, তবে রশিদ ওই ধাক্কাটা সামলাতে পারেননি। মাথা নাড়তে নাড়তে মাঠ ছেড়েছেন। নিউজিল্যান্ডও তখন উদযাপন বাদ দিয়ে চিন্তিত রশিদকে নিয়ে। দেখেই বোঝা যাচ্ছিল, রশিদ ভালো বোধ করছেন না। পরে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে নিজের প্রথম ‘কনকাশন’ টেস্টে ফেল করেছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পরে আর মাঠে নামেননি।

    রশিদকে ছাড়াই শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছিল আফগানিস্তানের। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই মার্টিন গাপটিলকে তুলে নেন আফতাব আলম। মানরো দারুণ দুইটি শটে শুরু করেছিলেন, তবে ভালো খেলতে খেলতেই আউট হয়ে গেলেন ২২ রানে। ৪১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড, এরপর উইলিয়ামসন ও রস টেলর আর কোনো সুযোগ দেননি আফগানিস্তানকে। বাংলাদেশের মতো উইলিয়ামসনের একটা রান আউটের সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি আফগানরা, কিউই অধিনায়ক যেটির মূল্য বুঝিয়ে দিয়েছেন ৭৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়ে।