• ইউরো বাছাইপর্ব
  • " />

     

    সুইডেনকে হারিয়ে স্পেনের 'চারে চার'

    সুইডেনকে হারিয়ে স্পেনের 'চারে চার'    

    ২৭ জুন, ২০১৬। ইতালির বিপক্ষে ইউরো ‘১৬-তে শেষবার জাল খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে স্পেন। এরপর মোট ৩৪টি ম্যাচ খেলেছে তারা, গোল করেছে প্রতিটিতেই। আজ সুইডেনের বিপক্ষে আজ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে একটা সময় আশঙ্কা দেখা দিচ্ছিল ‘লা রোহা’দের দারুণ সে রেকর্ড ভেঙ্গে যাওয়ার। কিন্তু দুর্দান্ত এক দ্বিতীয়ার্ধে সেসব আশঙ্কা এবং সুইডিশ বাধাকে রীতিমত উড়িয়ে দিয়েছে স্পেন। সার্জিও রামোস, আলভারো মোরাতা এবং মিকেল ওয়্যারজাবালের গোলে ইউরো বাছাইপর্বের 'এফ' গ্রুপের ম্যাচে সুইডিশদের ৩-০ গোলে হারিয়েছে স্পেন। ৪ ম্যাচে ৪ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে 'এফ' গ্রুপের শীর্ষেই থাকল লুইস এনরিকের দল।   

    বার্নাব্যুতে আজ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে স্প্যানিশদের হয়ে প্রথমবারের মত নেমেছিলেন কেপা আরিজাবালাগা এবং ফাবিয়ান রুইজ। ক্লাব ফুটবলে গত মৌসুমে গড়পড়তা ফর্মের চড়া মূল্যই দিতে হয়েছে স্প্যানিশদের এতদিনের মূল গোলরক্ষক ডেভিড ডি গিয়াকে। শুরু থেকেই সুইডিশদের চেপে ধরে স্পেন। প্রথম ২০ মিনিটেই গোলে ৫বার শট নেয় ইস্কো-আসেন্সিওরা, কিন্তু সুইডিশ গোলরক্ষক রবিন ওলসেন ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে।

     

     

    অসাধারণ সব সেভে ফিরিয়ে দিয়েছেন দানি পারেহো এবং সার্জিও রামোসের দুটি নিশ্চিত গোল। স্প্যানিশদের আক্রমণাত্মক ফুটবলের বিপরীতে সুইডিশদের বাসপার্ক রক্ষণের ট্যাকটিক্স কাজে দিয়েছে বেশ। প্রথমার্ধে মোট ১৩টি শট নিলেও প্রথম ২০ মিনিটের পর ওলসেনকে তেমন পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি। প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও সুইডিশদের চেপে ধরেছিল স্পেন। ৫৫ মিনিটে বার্নাব্যুতে স্পেনকে লিড এনে দিতে পারতেন ইস্কোই।

    কিন্তু দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে পারেহোর পাস থেকে তার শট চলে যায় সুইডিশ গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে। কিন্তু সেজন্য অবশ্য খুব একটা ভুগতে হয়নি তাদের। ৬০ মিনিটে জর্দি আলবার ক্রস ডিবক্সে সেবাস্তিয়ান লারসেনের হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি দেন রেফারি। ১২ গজ থেকে ওলসেনকে পরাস্ত করেন রামোস, একজন ডিফেন্ডার হয়েও স্পেনের জার্সিতে শেষ ৮ ম্যাচে ৭ গোল করেছেন তিনি। ঐ এক গোলেই স্বরূপে ফেরা স্পেন সুইডেন দুর্গ রীতিমত দুমড়েমুচড়ে ফেলে বাকি ৩০ মিনিটে। শুরুটা করেছিলেন বদলি স্ট্রাইকার মোরাতা।

     

     

    ৮৫ মিনিটে দুর্দান্ত এক একক প্রচেষ্টায় ডিবক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মোরাতা, কিন্তু শট নেওয়ার আগে তাকে ডিবক্সে ফাউল করে বসেন মিকেল লুস্টিগ। রামোস নয়, ১২ গজ থেকে এবার পেনাল্টিতে জয় নিশ্চিত করেন মোরাতা নিজেই। তবে সুইডিশ কফিনে শেষ পেরেকটা ঠোকা বাকি ছিল তখনও, মিনিটখানেক পর সেই কাজটাও করে ফেলেন আরেক তরুণ বদলি ফরোয়ার্ড ওয়্যারজাবাল। ৮৬ মিনিটে ফাবিয়ান রুইজের পাস থেকে চমৎকার বাঁকানো শটে ওলসেনকে পরাস্ত করেন তিনি। 

     

     

    রাতের অন্যান্য খেলায় স্পেনেরই 'এফ' গ্রুপে ফারো আইল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে নরওয়ে, মাল্টাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে রোমানিয়া। 'এ' গ্রুপে বুলগেরিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে কসোভো, মন্টেনেগ্রোকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র। 'বি' গ্রুপে লিথুয়েনিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে সার্বিয়া, লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে ইউক্রেনের জয়টা ১-০ গোলের। 'ডি' গুপে জর্জিয়াকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে ডেনমার্ক, জিব্রাল্টারকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। 'জি' গ্রুপে বয়ে গেছে গোলের বন্যা। উত্তর ম্যাসেডোনিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে অস্ট্রিয়া, লাটভিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্লোভেনিয়া এবং ইসরায়েলকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে পোল্যান্ড।