• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    'কন্ডিশনের কারণেই ধীরগতির ইনিংস খেলেছিল ওয়ার্নার'

    'কন্ডিশনের কারণেই ধীরগতির ইনিংস খেলেছিল ওয়ার্নার'    

    ভারতের বিপক্ষে তাঁর ব্যাটিং দেখে বেশিরভাগ মানুষই হয়ত বলেছেন, এটা কি সত্যিই ডেভিড ওয়ার্নার? বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ওয়ার্নারের মতো ব্যাটসম্যানের স্ট্রাইক রেট যদি ৬৬ হয়, তাহলে এই প্রশ্ন জাগাটাই স্বাভাবিক। ওয়ার্নারের স্বভাববিরুদ্ধ এই ব্যাটিং নিয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পর থেকে কম সমালোচনা হয়নি। সতীর্থ গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অবশ্য ওয়ার্নারের পক্ষেই কথা বললেন। ম্যাক্সওয়েল সাংবাদিকদের বলেছেন, ওভালের কন্ডিশন ও বলের আচরণের কারণেই অমন ধীরগতির ইনিংস খেলতে বাধ্য হয়েছিলেন ওয়ার্নার।

    বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির আগে ওয়ার্নারের স্ট্রাইক রেট ছিল ৯৬.৫৫। এক বছর নিষিদ্ধ থাকার পর এই বছর খেলায় ফিরে এখন পর্যন্ত তাঁর স্ট্রাইক রেট ৭১.৮৪। আইপিএলে চিরচেনা সেই ওয়ার্নারকে দেখা গেলেও জাতীয় দলের হয়ে একদমই অচেনা লেগেছে তাঁর ব্যাটিং।

    ভারতের বিপক্ষে যখন রানের পাহাড় টপকাতে হতো অস্ট্রেলিয়াকে, তখন ওয়ার্নারের কাছে ঝড়ো সূচনাই আশা করেছিল দল। সেরকম কিছুই অবশ্য হয়নি, উল্টো ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ধীরগতির ফিফটি করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ৮৪ বলে ৫৬ রান করে, এর মাঝে ৫০ বলে কোন রানই করতে পারেননি! এক পর্যায়ে টানা ১৪ বল ডট দিয়েছেন তিনি।

     

     

    কিন্তু কি এমন হলো যে ওয়ার্নারের ব্যাটে সেই আগের ধারটা নেই? ম্যাক্সওয়েলের দাবি, কন্ডিশনের কারণেই ওয়ার্নারের ব্যাটে ঝড় দেখা যায়নি সেদিন, ‘এটা কন্ডিশনের জন্য হতে পারে, বলের জন্যও। আমরা যা প্রত্যাশা করেছিলাম বল তার চেয়ে একটু বেশি করেছে। আমরা সবাই ৫০০ রানের প্রত্যাশা করি, চার-ছয় হবে এমনটা চাই। কিন্তু ৫-১০ ওভারের মাঝে বল অনেক সুইং করেছে, এরপর থেমে থেমে আসছিল। বাউন্সও অসামঞ্জস্য ছিল। ব্যাটিং করাটা খুব সহজ ছিল না। ট্রেন্টব্রিজেও এমনটা হয়েছিল।’

    ধীরগতির ইনিংস খেললেও রানের মাঝে আছেন ওয়ার্নার, এতেই খুশি ম্যাক্সওয়েল, ‘ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা তাঁর সেরা দিন ছিল না। কিন্তু সে অনেক সময় ধরে ব্যাটিং করেছে। এটা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। দুঃখজনকভাবে সে প্রথমবারের মতো আক্রমণাত্মক হতে গিয়েই আউট হয়েছে। সেই বলে আউট না হলে পরে তাঁর ঝড়ো ব্যাটিং দেখা যেত। সেই হয়ত বিশ্বকাপে আমাদের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি পাবে।’