• শাহরিয়ার নাফীসের বিশ্লেষণ
  • " />

     

    'সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সমালোচনা পাত্তা দেওয়ার কিছু নেই'

    'সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সমালোচনা পাত্তা দেওয়ার কিছু নেই'    

    রিজার্ভ ডে নিয়ে এখন মাতামাতি অর্থহীন

    এবারের টুর্নামেন্টে বৃষ্টি একটু বেশিই বাধা দিচ্ছে। রিজার্ভ ডে নিয়ে বেশ তোলপাড় হচ্ছে দেখলাম। এখানে কয়েকটা কথা বলা দরকার। প্রথমত, এটা কোনো দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিদেশীয় সিরিজ না, যে সহজেই রিজার্ভ ডে রাখা যাবে। এটা ১০ দলের একটা টুর্নামেন্ট। যেখানে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ছাড়া ব্রডকাস্টার, মিডিয়াসহ অনেকগুলো পক্ষ কাজ করে। এরকম একটা জায়গায় রিজার্ভ ডে রাখা বেশ কঠিন। তবে আমার প্রশ্ন অন্যখানে। বিশ্বকাপের যখন সূচি ঘোষণা করা হয়েছিল তখন কিন্তু রিজার্ভ ডে নিয়ে এত কথা হয়নি। এখন আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যায় আগে থেকেই, তখন কিন্তু এটা নিয়ে কেউ কথা বলেনি। এখন হঠাৎ করে রিজার্ভ ডে নিয়ে শোরগোল। এখন এটা নিয়ে বেশি মাতামাতি করে পরিস্থিতিই শুধু আরও বেশি ঘোলাটে হবে। আর এবার যা হওয়ার, সেটা আসলে হয়ে গেছে। এখন সামনের বিশ্বকাপের যখন সূচি করা হবে, তখন রিজার্ভ ডের ব্যাপারটা নিশ্চয় আইসিসির মাথায় থাকবে। সেভাবেই পরিকল্পনা করা হবে।

     

    বাংলাদেশ ফেবারিট কি না?

    অবশ্যই আমি মনে করি বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে এগিয়ে। খুব বড় ব্যবধানে না হলেও কিছুটা তো বটেই। দুই দলের গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানই সেটা বলছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিজেদের- ওদের মাঠে, আয়ারল্যান্ডে হারিয়েছে বাংলাদেশ। আমার মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে বাংলাদেশ দল হিসেবে বেশি ‘কমপ্যাক্ট’। টি-টোয়েন্টিতে হলে আমি হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে রাখতাম। তবে ওয়ানডেতে আমার মনে হয় বাংলাদেশই এগিয়ে।

     

    মাশরাফি-তামিমের সমালোচনা

    প্রথমত আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সমালোচনা খুব বেশি পাত্তা দেওয়ার পক্ষপাতী নই। ফেসবুক বা এসব জায়গায় অনেকে অনেক কিছু বলবে। সেসব আমি অস্বীকার করি না, তবে এখানে অনেক আলটপকা মন্তব্য আসে।  আমলে নেওয়ার দরকার দেখি না। আমরা অনেক সময় দেখেছি খেলোয়াড়দের প্রশ্ন করার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সামনে আনা হচ্ছে। আমি এই ব্যাপারটাতে এত গুরুত্ব দেওয়ারও কোনো দরকার মনে করি না। এই ব্যাপারটা যদি মূলধারার মিডিয়াতে আসত তাহলে সেটা নিয়ে হয়তো কথা বলা যেত। সুতরাং এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করার দরকার বলেও আমার মনে হয় না। আমি যদি এখন বলি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটা ওটা লেখা উচিত তাহলে ব্যাপারটা বেশি পাত্তা দেওয়া হয়ে যাবে। এই কাজটাও আমি করতে চাই না।

    দ্বিতীয়ত, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অন্য জায়গায় অনেকে অনেক কিছু বলবে। এটা নিয়ে যদি খেলোয়াড়েরা বা মূলধারার মিডিয়া বেশি হইচই করে তাহলে দলের জন্য ভালো বলে মনে করি না।

    তৃতীয়ত, দেখুন সমালোচনা হবেই। একজন খেলোয়াড় রান করতে না পারলে বা উইকেট না পেলে সেটা নিয়ে কথা হবেই। বিশ্বকাপের মতো আসরে সেটি নিয়ে এত বিচলিত হওয়ারও কিছু নেই।

     

    টন্টনের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সুবিধা

    টন্টন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ছোট মাঠগুলোর একটি। এখানে সামনে পেছনে সীমানা ছোট, দুই পাশে চওড়া। তবে আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, টন্টনে অনেকগুলো উইকেট আছে। আমার ধারণা, ২২-২৪টার মতো আছে। একদম দুই পাশের উইকেট থেকে বাউন্ডারির দূরত্ব কম। আবার আউটফিল্ডও দ্রুত। তো এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একটু বাড়তি সুবিধা পেতে পারে। সেদিক দিয়ে বাংলাদেশের জন্য একটু সমস্যা হতে পারে এখানে।

     

    ‘নিগলস’ সামলেই খেলতে হবে

    চোট তো অনেক দলের জন্যই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছ। বাংলাদেশ দলের জন্য তুলনামূলক সমস্যাটা কম। আর তামিম বা কাল মুশফিক যেরকম অনুশীলনে ব্যথা পেয়েছে সেটা আসলে চোট বলা যাবে না, এটাকে দুর্ঘটনাই বলতে হবে। আর অন্যদের যেসব ছোটোখাটো সমস্যা বা নিগলস আছে, সেসব সামলেই খেলতে হবে আমাদের। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, এই ছোটোখাটো চোটের ব্যাপারেও হয়তো বোর্ড আরেকটু মনযোগী হতে পারত। বিপিএল আর নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর একটা বিরতি ছিল, ওই সময় চোট নিয়ে আরেকটু কাজ করা যায় কি না সেটা নিয়ে আরেকটু ভাবা যেত।

     

    একাদশে লিটন আর রুবেলই থাকুক

    শ্রীলংকার সঙ্গে যা বলেছিলাম, কালকের ম্যাচে সেটা বদলানোর দরকার দেখছি না। লিটইন আর মিঠুনেরই একাদশে আসা উচিত। টন্টনে ঐতিহ্যগতভাবে স্পিনাররা সুবিধা পায় না, আর সামনে বাউন্ডারিও ছোট। মিরাজের ওপর চড়ে বসার সম্ভাবনা আছে ব্যাটসম্যানদের। আর ওদের বাঁহাতিদের জন্য দরকার হলে মোসাদ্দেক তো আছেই।

    আমার একাদশঃ তামিম, সৌম্য, সাকিব, মুশফিক, লিটন, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক, সাইফ উদ্দিন, মাশরাফি, রুবেল, মোস্তাফিজ

     

    বাংলাদেশের মূল হুমকি

    শেই হোপ

    বাংলাদেশের বিপক্ষে রেকর্ডটা দুর্দান্ত হোপের। কাল ও বড় হুমকি হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে

     

    যে দ্বৈরথে চোখ

    সাকিব-হোপ

    আমার মনে হয় হোপকে আনার জন্য সাকিবকেই কাজে লাগানো হবে।

    পরিসংখ্যান কী বলে?

     ২০১৮ ও ২০১৯ সালে আট ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছেন সাকিব। সাকিবের ১৪২ বলে ৫৯.১৫ স্ট্রাইক রেটে ৮৪ রান তুলেছেন হোপ, আউট হয়েছেন এক বার।

     

    কটরেল-সাকিব

    কটরেল এই বিশ্বকাপে ভালো ফর্মে আছে, তার সঙ্গে সাকিবের লড়াই জমতে পারে

    পরিসংখ্যান কী বলে?

    কটরেলের বিপক্ষে ৩ বল খেলেছেন সাকিব, রান তুলেছেন ৫। আউট হননি একবারও।