• এএফসি কাপ
  • " />

     

    গরমকে দায়ী করলেন মানাং কোচ, আবাহনী কোচ বললেন ভুলের সুযোগ নেই

    গরমকে দায়ী করলেন মানাং কোচ, আবাহনী কোচ বললেন ভুলের সুযোগ নেই    

    বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এএফসি কাপে নিজেদের শেষ হোম ম্যাচে আবাহনী পেয়েছে বড় জয়। মানাং মার্সিয়াংদিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে গেছে তারা। নেপালে প্রথম লেগে আবাহনী জিতেছিল ১-০ ব্যবধানে। ম্যাচশেষে দলের বড় হারের কারণ হিসেবে মানাং কোচ চিরিং গুরুং বলেছেন ঢাকার গরমের কথা। আর আবাহনীর ৫ গোলের তিনটির জন্যই ডিফন্ডারদের ভুলকে দুষছেন তিনি। আর আবাহনীর জয়ে দারুণ খুশি কোচ থমাস মারিয়া লেমোস বলছেন, শীর্ষ পর্যায়ে এমন ভুলের সুযোগ নেই। মানাংয়ের বিপক্ষে তার দলের জয়টা আরও বড় হতে পারত বলেই মনে করছেন তিনি।

    "আমার খেলোয়াড়রা এমন গরমে খেলে অভ্যস্ত নয়। আমি ডাগ আউটে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেখানেই অস্বস্তি লাগছিল। এমন আর্দ্রতায় খেলোয়াড়রা নিজেদের ৩০ শতাংশও খেলতে পারেনি। আবাহনীকে শুভেচ্ছা জয়ের জন্য। ২-০, ২-১ গোলের হার মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু এতো বড় হার আসলে মানা যায় না।"

    "আমার খেলোয়াড়রা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছিল। আর আবাহনীর ৫ গোলের তিনটিই আসলে উপহার। ভুলগুলোর জন্যই এতো বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে।" - ম্যাচ শেষে সংবাদসম্মেলনে বলেছেন চিরিং গুরুং।  

    লিগে আগের ম্যাচে রহমতগঞ্জকেও ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল আবাহনী। এরপর এএফসি কাপেও বড় জয়। আবাহনী কোচ এবার বড় করে দেখছেন ক্লিনশিটটা, "আমরা ৮ গোলও দিতে পারতাম এই ম্যাচে। তবে আমি ৫ গোলের জয় নিয়েই খুশি। এই ম্যাচে কোনো গোল হজম করিনি, এটাই আমার জন্য বেশি আনন্দের।"

    "আপনি এএফসি ম্যাচ খেলতে এসেছেন। এটা শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবল। এখানে ভুলের সুযোগ নেই। আমার দল ভুল করলেও আমি মেনে নিতাম। এখানে আসলে অযুহাতের সুযোগ নেই।"

    ম্যাচের আগে অবশ্য এতোবড় জয়ের কথা ভাবেননি বলেও জানিয়েছেন আবাহনী কোচ। তবে তার পরিকল্পনার পুরোটাই কাজে লাগিয়েছে আবাহনী, "ওরা ঘাসের মাঠে খুব একটা ভালো দল নয়। তারওপর ওদের দলের অঞ্জন বিস্তা ও আফিজ ওলাদিপোকে নিয়ে আমার একটু চিন্তা ছিল। কিন্তু তারা এই ম্যাচে খেলেনি, তাই আমাদের কাজটাও আরও সহজ হয়ে গিয়েছিল। আমাদের গোলের সামনে আসতে পারেনি তারা। মিডফিল্ড থেকে দুই দিকে বল দিয়ে খেলা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে ওরা। আজ সেটাও ওদের করতে দেইনি আমরা প্রেস করে।"   

    শেষ ম্যাচে গুয়াহাটিতে মিনার্ভা পাঞ্জাবকে হারাতে পারলেই প্রথমবারের মতো পরের রাউন্ডে উঠে যাবে আবাহনী। ফল নিয়ে আর কারও ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে না বলে আনন্দিত লেমোস, তবে মনে করিয়ে দিচ্ছেন শেষ ম্যাচে কাঙ্ক্ষিত ফল না পেলে আর কোনো লাভই নেই। মিনার্ভার সঙ্গে ঘরের মাঠে ২-২ গোলে ড্র করেছিল আবাহনী। মিনার্ভাকে হারাতে না পারলে তাদের নির্ভর করতে হবে মানাং ও চেন্নাইনের ম্যাচের ফলের ওপর। ম্যাচের আগে চেন্নাইনকে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল বলেছিলেন মানাগ কোচ গুরুং। তবে যাওয়ার আগে তিনি জানিয়ে গেছেন, মানাংয়ের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেলেও নিজেদের মাঠে তাদের হারানোর সর্বোচ চেষ্টাই করবে তার দল, "আমরা এখনও এই টুর্নামেন্টে জয় পাইনি। আমাদের একটা জয় দরকার। আমরা শতভাগ চেষ্টা করব চেন্নাইনকে হারাতে।"

    মানাংয়ের জন্য কাজটা কঠিন হলেও কাজটা করতে পারলে নিজেদের ম্যাচে ফল যাই হোক না কেন আবাহনীর পরের রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাবে। কিন্তু মিনার্ভা তাদের ৫ ম্যাচের সবগুলোই ড্র করেছে, ভারতে গিয়ে তাদের বিপক্ষে জয়টা যে সহজ হবে না সেটা জানেন লেমোসও। কিন্তু এই ম্যাচের ফল অনুপ্রেরণাই যোগাবে বলে জানিয়েছেন তিনি, "আমরা মানাংকে তাদের নিজদের খেলাটা খেলতে দেইনি। মিডফিল্ডে চ্যানেল গুলোও ব্লক করেছে আমার দল। হাতে আর সপ্তাহখানেক সময় আছে। এর মধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে আশা করি ভালো কিছু করতে পারব।" - সবশেষে লেমোস আশা দেখালেন। আবাহনী স্বপ্নও দেখছে তার হাত ধরেই।