• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    'সমর্থকদের সম্মান ফিরে পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা'

    'সমর্থকদের সম্মান ফিরে পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা'    

    বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর অস্ট্রেলিয়ান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার বহুবার বলেছিলেন, সমর্থকদের সম্মানটা ফিরে পাওয়ার সর্বোচ চেষ্টাই করবে তাঁর দল। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের দলকে। ষষ্ঠ শিরোপা না জেতার হতাশা থাকলেও ল্যাঙ্গারের বিশ্বাস, বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করে সমর্থকদের সম্মানটা ফিরে পেয়েছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। 

    ইংল্যান্ডের মাঠে স্টিভ স্মিথ-ডেভিড ওয়ার্নারকে দুয়ো শুনতে হয়েছে অনেক। তাদের দুইজনসহ অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষ থেকে দেখা যায়নি খুব বেশি স্লেজিং। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক অ্যাডাম জাম্পার অশালীন কথা ছাড়া পুরো টুর্নামেন্টে বিতর্ক থেকে অনেক দূরেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। 

    ল্যাঙ্গার মানছেন, পুরনো সম্মানটা ফিরে পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ‘গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আমরা সম্মান ফিরে পাওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে বলছিলাম। মাঠে ও মাঠের বাইরে আমাদের আচরণ দিয়েই এটা সম্ভব হতো। বিশ্বকাপে আমরা সেটা করে দেখিয়েছি, সামনেও এটা অব্যাহত থাকবে। আমার বিশ্বাস আমরা সম্মানটা ফিরে পেয়েছি। আমরা মাঠে ও মাঠের বাইরে ঠিক আচরণটাই করছি।’ 

    দক্ষিণ আফ্রিকার সেই কালো অধ্যায়কে পেছনে ফেলে এই বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম করেছেন স্মিথ- ওয়ার্নার। অ্যাশেজেও সেটা অব্যাহত রাখবেন দুইজন, এমনটাই আশা ল্যাঙ্গারের, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাতে যা হয়েছে, সেটা নিয়ে গত এক বছরে কম কথা হয়নি। এসব কিছু পেছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই আমরা। শুধু মাঠের খেলায় নয়, অন্যদিকেও সেটা প্রমাণ করেছে ক্রিকেটাররা। যা হয়েছে এটা অতীত, তারা দুইজন এটাকে ধরে রাখেনি। আমি তাদের নিয়ে গর্বিত। ওয়ানডের মতো অ্যাশেজেও তারা ভালো খেলবে এটাই চাই। তারা দুইজনই পেশাদার ক্রিকেটার, লম্বা সময় টেস্ট না খেললেও সহজেই এই ফরম্যাটের সাথে মানিয়ে নিতে পারবে।’ 

    সেমিফাইনালের আগে ইনজুরিতে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন উসমান খাওয়াজা। তাঁর ইনজুরিটাই অস্ট্রেলিয়ার হারে বড় ভূমিকা রেখেছে, বিশ্বাস ল্যাঙ্গারের, ‘খাওয়াজা ও মার্শের ইনজুরিটা বড় ফ্যাক্টর ছিল, বিশেষ করে খাওয়াজার ছিটকে যাওয়াটা। সেমিফাইনালের মতো ম্যাচের জন্যই আমরা খাওয়াজাকে নিয়েছিলাম। যখন দ্রুত উইকেট পড়ে যাবে, তখন তিন নম্বরে এসে সে যেন দলের হাল ধরতে পারে। ইংল্যান্ডের কথাই ধরুন, রয়ের ইনজুরির প্রভাব কিন্তু দলের পারফরম্যান্সে পড়েছিল। দলের সেরা ক্রিকেটাররা বাদ পরলে এমনটাই হয়। হ্যান্ডসকম্ব সরাসরি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল। বছরটা দারুণ কাটলেও সেদিন ভাগ্য তাঁর সহায় হয়নি।’