• অ্যাশেজ
  • " />

     

    অ্যাশেজ খেলা হচ্ছে না ম্যাক্সওয়েল-স্টোয়নিসের

    অ্যাশেজ খেলা হচ্ছে না ম্যাক্সওয়েল-স্টোয়নিসের    

    বিশ্বকাপে দুইজনকে নিয়েই ছিল অনেক প্রত্যাশা। অস্ট্রেলিয়ার দুই অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মার্কাস স্টোয়নিস দলটির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। বিশ্বকাপের এই ব্যর্থতার দায়ে আসন্ন অ্যাশেজেও খেলা হচ্ছে না ম্যাক্সওয়েল ও স্টোয়নিসের। অ্যাশেজের জন্য ঘোষিত ২৫ জনের প্রাথমিক দলে নেই দুইজন। 

    বিশ্বকাপের ১০ ম্যাচে ম্যাক্সওয়েলের রান মাত্র ১৭৭, গড় ২২.১২।  বল হাতে একটি উইকেটও পাননি তিনি। অন্যদিকে আট ম্যাচে স্টোয়নিস করেছেন ৮৭ রান, গড় মাত্র ১৪.৫। বল হাতে তিনি নিয়েছেন ৩৪.৮৫ গড়ে সাত উইকেট। 

    ম্যাক্সওয়েল-স্টোয়নিসের এমন পারফরম্যান্সে হতাশ অস্ট্রেলিয়ান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারও, ‘বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স নিয়ে সবার মতো তারা দুইজনও খুব হতাশ। কঠোর পরিশ্রম করেও যখন ফল আসছে না, হতাশ হওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশ্বকাপের জন্য সেরা স্কোয়াডটাই আমরা নির্বাচন করেছিলাম। তারা দুইজন আমাদের এই পর্যায়ে আসতে সাহায্য করেছে। তাদের অবদান অবশ্যই ছিল সেমিতে আসার পথে। তবে নেতিবাচকের চেয়ে ইতিবাচক দিকটাই বেশি।’ 

    ম্যাক্সওয়েল-স্টোয়নিস না থাকলেও অ্যাশেজের প্রাথমিক স্কোয়াডে ফিরেছেন বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ থাকা ক্যামেরন ব্যানক্রফটও। অভিজ্ঞতার কারণেই তাঁকে ফেরানো হয়েছে, জানালেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক ট্রেভর হনস, ‘শেষবার সে যখন টেস্ট খেলেছে, তখন সে ভালো ফর্মে ছিল। কাউন্টি ক্রিকেটে ডারহামের হয়েও সে নিয়মিত রান পাচ্ছে।’

    বিশ্বকাপের ভালো পারফরম্যান্সের সুবাদে অ্যাশেজের প্রাথমিক দলে জায়গা করে নিয়েছেন উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারিও। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ৬২.৫০ গড়ে ক্যারি করেছেন ৩৭৫ রান, ডিসমিসাল ২০টি। তাঁর পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে হনসকে, ‘সে প্রতিনিয়তই নিজের ব্যাটিং ও কিপিংয়ের উন্নতি করছে। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে সে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে বিশ্বকাপজুড়েই।’ 

    আগামী ২৩ জুলাই ইংল্যান্ড এ দলের মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া এ দল। সেই ম্যাচের পরেই ঘোষণা করা হবে অ্যাশেজের চূড়ান্ত স্কোয়াড।