মাথায় আঘাত পাওয়া ক্রিকেটারের বদলি নামানো যাবে অ্যাশেজে?
পাঁচ বছর আগে ফিলিপ হিউজের সেই মৃত্যু ক্রিকেটকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এরপর থেকেই কারো হেলমেটে বল লাগলে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে যান সবাই। মাথায় বল লাগার পর ‘কনকাশন পরীক্ষায়’ উতরাতে না পেরে অনেকে পরবর্তীতে আর ব্যাটিং-বোলিংও করতে পারেন না। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে এবার আইসিসি চালু করতে পারে নতুন নিয়ম। আসন্ন অ্যাশেজেই ম্যাচ চলার সময় মাথায় আঘাত পাওয়া ক্রিকেটারদের বদলি হিসেবে আরেকজনকে খেলানো হতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে সবার আগে চালু হয়েছে এই বদলি ক্রিকেটার আনার নিয়ম। ২০১৬-১৭ মৌসুম থেকে পুরুষ ও নারী বিগ ব্যাশে কেউ মাথায় আঘাত পেয়ে খেলার অবস্থায় না থাকলে তার বদলি হিসেবে আরেকজনকে খেলানো হয়েছে। পরের মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডেও আসে এই নিয়ম।
এই বিশ্বকাপেও মাথায় আঘাত পাওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আফগানিস্তানের রশিদ খান তো নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সময় হেলমেটে আঘাত পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। বল তার হেলমেটে লেগে স্টাম্পে পড়লে আউট হন রশিদ। তবে নিউজিল্যান্ডের সবাই উদযাপনের চেয়ে রশিদকে নিয়েই বেশি চিন্তিত ছিল। পরবর্তীতে কনকাশন টেস্টে উতরাতে না পারায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বোলিং করেননি রশিদ।
আইসিসি চাইছে, অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া লিগের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও কনকাশন টেস্টে উতরাতে না পারা ক্রিকেটারদের বদলি নামার নিয়ম থাকুক। ১ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজেই দেখা যেতে পার এমন কিছু। এই নিয়মের পাশাপাশি প্রতিটি দলেই ডাক্তার রাখা বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। এই বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলংকা টেস্ট চলার সময় কুশল মেন্ডিস ও দিমুথ করুনারত্নে দুজনেই মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। লংকান দলে স্থায়ী ডাক্তার না থাকায় অস্ট্রেলিয়ান ডাক্তারই তাদের পরবর্তীতে পরীক্ষা করে মাঠে নামার ছাড়পত্র দিয়েছেন।
আগামী শুক্রবার বৈঠকে বসবে আইসিসি। সেই সভাতেই আসতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।