• আয়ারল্যান্ড-ইংল্যান্ড ২০১৯
  • " />

     

    মারটাহ ঝড়ে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড

    মারটাহ ঝড়ে লন্ডভন্ড ইংল্যান্ড    

    স্কোর 

    প্রথম দিন শেষে 

    ইংল্যান্ড ২৩.৪ ওভারে ৮৫ (ডেনলি ২৩, স্টোন ১৯; মারটাহ ৫/১৩, আদাইর ৩/৩২) ও ০/০

    আয়ারল্যান্ড ৫৮.২ ওভারে ২০৭( বালবিরনি ৫৫, স্টার্লিং ৩৬; কারান ৩/২৮, স্টোন ৩/২৯, ব্রড ৩/৬০) 

     

    ব্যবধান মাত্র দশদিনের। যে লর্ডসে ইংল্যান্ড জিতেছিল বিশ্বকাপ, সেই লর্ডসেই আয়ারল্যান্ডের কাছে মাত্র ৮৫ রানে অলআউট হয়ে গেলো জো রুটের দল। চারদিনের টেস্টের প্রথম দিনে ইংল্যান্ডের মতো অলআউট হয়েছে আয়ারল্যান্ডও। ২০৭ রানে গুটিয়ে গেলেও প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের চেয়ে ১২২ রানে এগিয়ে থেকেই দিন শেষ করেছে আইরিশরা। 

    টসে জিতে খুব বেশিকিছু না ভেবে ব্যাটিংই নিয়েছিলেন রুট। এরপর যা হলো, তা হয়তো কল্পনাতেও কেউ ভাবতে পারেননি লর্ডসের দর্শক। দিনের তখন এক ঘণ্টা পেরিয়েছে কেবল, ১৫ ওভারের মাঝেই ৪৩ রানে নেই ইংলিশদের সাত উইকেট! ইংল্যান্ড ব্যাটিং লাইনআপের এমন দশার জন্য দায়ী যিনি, লর্ডস কিন্তু তাঁর ‘ঘরের মাঠ’! কাউন্টিতে মিডলসেক্সের হয়ে খেলা টিম মারটাহর বোলিং তোপেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ইংল্যান্ড। 

    তৃতীয় ওভারে অভিষেক হওয়া জেসন রয়কে ফিরিয়ে শুরু। এরপর ১৩ রান দিয়ে মারটাহ নিয়েছেন মোট পাঁচ উইকেট। অন্য প্রান্তে দারুণ বোলিং করেছেন মার্ক আদাইরও, তিনি নিয়েছেন তিন উইকেট। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনজন ব্যাটসম্যান ছুঁয়েছেন তিন অংক। জো ডেনলি শুরুতে করেছিলেন ২৩ রান। শেষের দিকে নামা স্যাম কারান ১৮ ও অলি স্টোন ১৯ রান না করলে হয়তো আরও কম রানেই গুটিয়ে যেত ইংল্যান্ড। 

    ইংল্যান্ডের ইনিংস স্থায়ী হয়েছে মাত্র ২৩.৪ ওভার। ঘরের মাটিতে এতো কম সময়ে কখনোই অলআউট হয়নি ইংল্যান্ড। শেষবার ১৯৯৫ সালে এজবাস্টনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩০ ওভারে গুটিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। কম ওভারে অলআউট হওয়ার দিক দিয়ে এটা ইংল্যান্ডের পঞ্চম সর্বনিম্ন। আগের চারটিতেই শেষ পর্যন্ত হেরেছে তাঁরা। ২০১৬ সালের পর চতুর্থবারের মতো এক সেশনের মাঝেই অলআউট হলো ইংল্যান্ড। 

    ব্যাটিংয়ে নেমে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও জেমস ম্যাককলাম শুরুটা ধীরে সুস্থেই করেছিলেন। ১৪ রান করা পোর্টারফিল্ডকে ফিরিয়ে ৩২ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙ্গেন কারান। ম্যাককলামকেও বোল্ড করেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে অ্যান্ড্রু বালবিরনি ও পল স্টার্লিংয়ের ৮৭ রানের জুটি আইরিশদের প্রথম ইনিংসে লিড এনে দেয়। 

    ইংল্যান্ডের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙ্গেন স্টুয়ার্ট ব্রড। এরপর ৪২ রানের মাঝে আরও পাঁচ উইকেট হারায় আইরিশরা। ১৩২ রানে দুই উইকেট থেকে স্কোরকার্ডটা দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৭৪। শেষের দিকে অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের ১১ ও মারটাগের ১৬ রানের সুবাদে ২০০ পেরোয় আয়ারল্যান্ড। তিন উইকেট নিয়েছেন ব্রড, স্টোন ও কারান। প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের লিড দাঁড়ায় ১২২ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে এক ওভার খেলে কোন রান করেননি দুই ইংলিশ ওপেনার।