• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    অডি কাপে স্পার্সের কাছেও হারল রিয়াল মাদ্রিদ

    অডি কাপে স্পার্সের কাছেও হারল রিয়াল মাদ্রিদ    

    এবারের প্রাক-মৌসুমটা একেবারেই ভাল যাচ্ছে না রিয়াল মাদ্রিদের। ২০১৯-২০ মৌসুমের আগে নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার মিশনে বারবারই হতাশ হতে হচ্ছে জিনেদিন জিদানের দলকে। বায়ার্ন মিউনিখ, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের পর এবার টটেনহাম হটস্পারের কাছেও হারল রিয়াল। হ্যারি কেইনের একমাত্র গোলে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে অডি কাপের সেমিফাইনালে স্পার্সের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে 'লস ব্লাঙ্কোস'রা। ৩১ জুলাই বায়ার্ন বা ফেনেরবাচের বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলবে জিদানের দল।

    অডি কাপের সেমিতে পূর্ণশক্তির একাদশই নামিয়েছিল দুই দল। রিয়ালের হয়ে মাঠে ছিলেন এডেন হ্যাজার্ড, করিম বেনজেমা, লুকা মদ্রিচরা। স্পার্সের হয়েও শুরু থেকেই ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন, কেইন, এরিক লামেলা এবং হিউঙ-মিন সন। ম্যাচের শুরু থেকেই রিয়ালকে চেপে ধরেছিল স্পার্স। কেইন-এরিকসেনদের গতি এবং বোঝাপড়া সামলাতে হিমশিমই খাচ্ছিলেন সার্জিও রামোসরা। তবে প্রথমার্ধে দারুণ ফর্মে ছিলেন কেইলর নাভাসও।

     

     

    এরিকসেন এবং লামেলার দুটি প্রচেষ্টা দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন কোস্টারিকান গোলরক্ষক। কিন্তু ২২ মিনিটে নিজেদেরই ভুলেই পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। মার্সেলোর ব্যাকপাস থেকে নাভাসকে একা পেয়ে যান কেইন। রামোস-ভারান এগিয়ে আসলেও চমৎকার চিপে নাভাসকে পরাস্ত করেন ইংলিশ স্ট্রাইকার। পিছিয়ে পড়লেও পুরো ম্যাচে স্পার্সের রক্ষণভাগকে তেমন পরীক্ষায়ই ফেলতে পারেননি হ্যাজার্ডরা। লিড নিলেও নাভাসের কারণেই ব্যবধান বাড়াতে পারেনি স্পার্স।

     

     

    প্রথমার্ধের শেষদিকে আবারও নাভাসকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন কেইন, কিন্তু এবার তাকে ফিরিয়ে দেন রিয়ালের গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে প্রায় পুরো একাদশই বদলে ফেলেন মরিসিও পচেত্তিনো। লামেলার বদলে মাঠে নেমেছিলেন ড্যালে আলি, দ্বিতীয়ার্ধে স্পার্সের দুটি সেরা সুযোগই পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আবারও দুর্গ হয়ে দাঁড়ান নাভাস। রিয়ালের হয়ে ম্যাচের মিনিট দশেক বাকি থাকতে নেমেছিলেন ফরোয়ার্ড রদ্রিগো। ম্যাচের শেষদিকে স্পার্স গোলরক্ষক হুগো লরিসকেও পরাস্ত করেছিলেন তিনি, কিন্তু অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি।

    ৮৫ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত স্পার্সও। কিন্তু বদলি ফরোয়ার্ড ট্রয় প্যারোটের শট নাভাসকে পরাস্ত করলেও প্রতিহত হয় বারপোস্টে।  শেষ পর্যন্ত আবারও হতাশা নিয়েই ফিরতে হয়েছে জিদানের দলকে। প্রাক-মৌসুমের শেষদিকে এসেও রক্ষণে ভুল বোঝাবুঝির পুরনো সমস্যাই ভোগাচ্ছে রিয়ালকে। রামোস, ভারানরা ফর্মে ফিরতে না পারলে হয়তো আরও এক হতাশাজনক মৌসুমই অপেক্ষা করছে রিয়ালের জন্য।