• বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    চট্ট.আবাহনীর সঙ্গে ড্র করে শিরোপা উদযাপন করল বসুন্ধরা কিংস

    চট্ট.আবাহনীর সঙ্গে ড্র করে শিরোপা উদযাপন করল বসুন্ধরা কিংস    

    ম্যাচটা ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। আর সব উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বসুন্ধরা কিংস। সেটা বোঝা গেল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হাজার পনেরো বসুন্ধরা কিংস সমর্থকদের উপস্থিতিতে। সবার গায়ে চ্যাম্পিয়ন লেখা জার্সি। সেই উদযাপনে অবশ্য বাগড়া বাধিয়েছে বৃষ্টি। বসুন্ধরা চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যাচটাও শেষ হয়েছে ১-১ গোলে ড্রয়ে। বসুন্ধরা কিংস আগেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে ছিল, ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শেষ করলো তারা। আর শেষ ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়ে মোহামেডানকে টপকে লিগের আট নম্বরে শেষ করল চট্টগ্রাম আবাহনী।  

    দুপুর থেকে নামা বৃষ্টিতে মাঠ ছিল ভারী। রোদের দেখা পাওয়া গেল অবশ্য ম্যাচ শুরুর পরপরই। সেই আলোতে উজ্জ্বল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা। ১৫ মিনিটে মার্কোস ভিনিসিয়াসের আর কলিনদ্রেস মিলে প্রায় গোলটা পাইয়ে দিয়েছিল বসুন্ধরাকে। প্রথম জনের ক্রস থেকে কলিনদ্রেসকে নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত করেন ডিফেন্ডার মুফতা লাওয়াল। পরের মিনিটে সিক্স ইয়ার্ড বক্সের সামনে থেকে কৌশিক বড়ুয়া ভলি মিস না করলে এগিয়ে যেতে পারত চট্টগ্রাম আবাহনীও।

    এরপর একরকম চট্টগ্রাম আবাহনীর উপহারেই এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। ডিবক্সের সামনে থেকে লব করেছিলেন ভিনিসিয়াস, সতীর্থ কেই ছিলেন না সেখানে। কিন্তু সেই লাওয়াল এবার করলেন ভুল। নিজেও বল ক্লিয়ার করলেন না, গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহালও সেই বল ধরলেন না। ভুল বোঝাবুঝিতে হাস্যকর এক গোল খেয়ে বসে চট্টগ্রাম আবাহনী।

    প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো অবশ্য চট্টগ্রাম আবাহনীর আফসোস পুষিয়ে দেন। ওয়ান অন ওয়ানে উড়ে আসা বল ধরতে গিয়ে কিংসলে ফাউল করে বসেন তিনি, রেফারিও দেন পেনাল্টির বাঁশি। দানিয়েল টাগোয়ে সফল স্পটকিক নিয়ে জিকোর আফসোস আরও বাড়ান। ঠিক দিয়ে ঝাঁপ দিয়েছিলেন গোলরক্ষক, হাতে লেগেছিল বল। কিন্তু শেষ রক্ষাক করতে পারেননি। 

    চট্টগ্রাম গোলরক্ষক নেহাল অবশ্য এরপর আর ভুল করেননি। প্রথমার্ধে দারুণ দুইটি সেভ করে দলকে টিকিয়ে রেখেছিলেন ম্যাচে। ভিনিসিয়াসের জোরালো শট ঠেকিয়েছেন একবার, দ্বিতীয়ার্ধে কলিনদ্রেসকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে করেছেন গোলবঞ্চিত। ম্যাচ শেষে তাই সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন তিনিই।

    বিরতির সময় আরেকবার বৃষ্টিতে মাঠ ভারী হয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের খেলাই হয়েছে কিছুটা এলোমেলো। এর ভেতর চট্টগ্রাম আবাহনী কিছু হাফ চান্স তৈরি করলেও গোলের সেভাবে সুযোগ আর গোলের সামনে বসুন্ধরাকে ঝামেলায় ফেলতে পারেনি।   

    বসুন্ধরা কিংসের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল দুই ম্যাচ হাতে রেখেই। ২৪ ম্যাচে মাত্র একবার হেরেছে তারা। আর এই নিয়ে ড্র হলো তিন ম্যাচে। শেখ রাসেলের কাছে হারটা গলার কাঁটা হয়ে না থাকলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হতে পারত তারা। আবাহনীর আধিপত্য তো ভাঙা হয়েছেই, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়ে শিরোপা জয়ের রেকর্ডও গড়া হয়ে গেছে কিংসদের। আর প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে এসে শিরোপা জয়ের কীর্তি গড়ার অনন্য রেকর্ডটাও তো সঙ্গী তাদের। তাই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সময় কলিনদ্রেস, ভিনিয়সিয়াসদের তৃপ্তিটা যেন একটু বেশিই মনে হলো।