বার্কোসের জায়গায় আরেক আর্জেন্টাইনকে দলে ভেড়াল বসুন্ধরা
আর্জেন্টিনার সাবেক স্ট্রাইকার হের্নান বার্কোসকে দলে নিয়ে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। সেই বার্কোস করোনাভাইরাসের কারণে বসুন্ধরার জার্সিতে মাত্র একবার মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিছুদিন আগেই এরপর বসুন্ধরা কিংস ছেড়ে ইতালির ক্লাবে পাড়ি জমিয়েছেন বার্কোস। বসুন্ধরা তার জায়গায় এনেছে তার স্বদেশী আরেক স্ট্রাইকারকে। ৩৩ বছর বয়সী স্ট্রাইকার রাউল বেসেরার সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা।
দুই পক্ষের চুক্তি হয়েছে এক বছরের জন্য। আর্জেন্টিনায় জন্ম হলেও বেসেরা আছে চিলির নাগরিকত্বও। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আর্জেন্টিনা ও চিলির বিভিন্ন স্তরের লিগে খেলেছেন বাসেরা, খেলেছেন ইকুয়েডরের সর্বোচ্চ স্তরের লিগেও। তবে বার্কোসের মতো জাতীয় দলের হয়ে কখনই খেলা হয়নি তার।
বেসেরার ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স। আর্জেন্টিনার প্রিমিয়ার ডিভিশনে (শীর্ষস্তর) খেলার অভিজ্ঞতাও তাই আছে বেসেরার। ডিয়েগো ম্যারাডোনাসহ আর্জেন্টিনার অনেক তারকা ফুটবলারই তাদের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এই ক্লাবের হয়ে। ২০১৩-১৪ মৌসুমে আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের হয়ে ১৩ ম্যাচ খেললেও কোনো গোল করা হয়নি বেসেরার। এরপর ইকুয়েডর, চিলি হয়ে কাতারের ক্লাব উম সালালের হয়ে ২০২০ মৌসুমে খেলছিলেন তিনি।
কাতারের শীর্ষস্তরের লিগে খেলার সময়ই ভারতের আইএসএলের বেশ কয়েকটি ক্লাব তার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিল। তবে, শেষ পর্যন্ত বেসেরা চুক্তি করলেন বসুন্ধরার সঙ্গেই।
বেসেরার মূলত সেন্টার ফরোয়ার্ড পজিশনেই খেলেন। ডান পায়ের ফুটবলার হলেও দুই পায়েই সমান দক্ষ তিনি। বাতাসে অবশ্য বার্কোসের মতো অতোখানি কার্যকরি নন। তবে তিনি বার্কোসের মতো পুরোপুরি 'ফক্স ইন দ্য বক্স' নন। তাই অস্কার ব্রুজোনের রোটেশনাল মুভমেন্টে কার্যকরিই হওয়ার কথা বেসেরার। মূলত বার্কোসের রিপ্লেসমেন্ট হলেও খেলার দিক দিয়ে তার সঙ্গে বেশি মিল খুঁজে পাওয়া যায় বসুন্ধরার সাবেক অধিনায়ক দানিয়েল কলিনদ্রেসের সঙ্গে।
এই মৌসুমে বসুন্ধরার চতুর্থ বিদেশী ফুটবলার হিসেবে দলে যোগ দিলেন বাসেরা। এর আগে ব্রাজিলের রবিনহো ও জোনাথন ফার্নান্দেজ, ইরানের খালেদ শাফির সঙ্গে চুক্তি সেরেছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা।