ল্যাম্পার্ডের চেলসির অপেক্ষা বাড়িয়ে দিল লেস্টার সিটি
চেলসির ডাগআউটে শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি নতুন ম্যানেজার ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর লিভারপুলের কাছেও ইউয়েফা সুপারকাপে টাইব্রেকারে হেরেছে ‘ব্লুজ’রা। নিজের চিরপরিচিত স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসির ম্যানেজার হিসেবে অভিষেকে লেস্টার সিটির বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বপ্নই হয়তো দেখছিলেন ল্যাম্পার্ড। কিন্তু ‘ব্লুজ’দের হয়ে তিন ম্যাচ পরও প্রথম জয় অধরাই থেকে গেল তার। চেলসিকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে ‘ফক্স’রা। ২০১৯-২০ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ২ ম্যাচ শেষে চেলসির সংগ্রহ মাত্র ১ পয়েন্ট।।
আরও এক হতাশাজনক ফলাফল পেলেও স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শুরুটা একেবারেই স্বপ্নের মতই ছিল ল্যাম্পার্ডের। ৭ মিনিটে লেস্টারের উইলফ্রেড এন’দিদির পা থেকে বল কেড়ে নেন তরুণ মিডফিল্ডার মেসন মাউন্ট। ডিবক্সের ঠিক সামনে থেকে তার শট ফেরাতে পারেননি ক্যাসপার স্মেইকেল। প্রাক-মৌসুমেও ল্যাম্পার্ডের অধীনে চেলসির হয়ে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিলেন মাউন্ট। রস বার্কলির বদলে ল্যাম্পার্ডের তাকে নামানোর সিদ্ধান্তের প্রতিদান দারুণভাবেই দিলেন তিনি। প্রথমার্ধে চেলসির সাথে একেবারেই পেরে উঠেনি লেস্টার। ২৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন এন’গোলো কান্তে।
কিন্তু তার শট লাইন থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ফিরিয়ে দেন লেস্টার ফুলব্যাক ক্রিশ্চিয়ান ফুকস। প্রথমার্ধের বাকিটা সময় ৪-৫-১ ফর্মেশনে খেলা লেস্টারের রক্ষণভাগ আর ভাঙ্গতে পারেনি চেলসি। প্রথমার্ধের চেলসির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি লেস্টার, কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রীতিমত খোলনলচে বদলে যায় ব্রেন্ডন রজার্সের দল। ৫০ মিনিটেই সমতায় ফিরতে পারত তারা, কিন্তু কেপাকে কাটিয়েও শট চেলসির জালে পাঠাতে পারেননি আয়োজে পেরেজ। দ্বিতীয়ার্ধের সময় যত গড়িয়েছে; ক্রিশ্চিয়ানসেন-জুমাদের তত চেপে ধরেছেন ভার্ডি-পেরেজরা। মাত্র চারদিন আগেই লিভারপুলের বিপক্ষে সুপারকাপের ম্যাচের কারণে বেশ ক্লান্তই মনে হয়েছে উইলিয়ান-পেদ্রোদের।
৬৩ মিনিটে আবারও সুযোগ পেয়েছিলেন পেরেজ, কিন্তু এবারও তাকে ফিরতে হয়েছে খালি হাতেই। অবশ্য এজন্য খুব একটা ভুগতে হয়নি লেস্টারকে। প্রথমার্ধে তার ভুলেই পিছিয়ে পড়েছিল লেস্টার, দ্বিতীয়ার্ধে সেই এন’দিদির গোলেই সমতায় ফেরে রজার্সের দল। ৬৭ মিনিটে জেমস ম্যাডিসনের কর্নার থেকে হেড করে ‘জিরো’ থেকে ‘হিরো’ বনে যান এন’দিদি। সমতায় ফেরার কিছুক্ষণ বাদেই লিড নেওয়ারও দারুণ সুযোগ পেয়েছিল লেস্টার। কিন্তু ৭২ মিনিটে পেরেজের পাস থেকে চেলসির তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়েও গোলের মাত্র ছয় গজ দূর থেকে শট বাইরে মেরেছেন ম্যাডিসন।
ড্র নিয়ে ফেরায় চেলসির চেয়ে হয়তো বেশি হতাশ লেস্টারেরই হওয়ার কথা। ৭৮ এবং ৮৪ মিনিটে গোলের দুটি দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন জেমি ভার্ডি এবং ইয়ুরি টিয়েলেম্যানস। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়েও আরেকটু হলেই কেপাকে একা পেয়ে যেতে পারতেন ভার্ডি। কিন্তু ডিবক্স ছেড়ে বাইরে এসে বল ক্লিয়ার করে দেন কেপা। দুই ম্যাচ শেষেও তাই জয়হীনই থাকতে হল চেলসিকে। প্রথম জয়ের জন্য তাই অন্তত আরও সপ্তাহখানেক অপেক্ষাই করতে হবে ল্যাম্পার্ডকে।