ল্যাম্পার্ডের চেলসিকে প্রথম জয় এনে দিলেন আব্রাহাম
চতুর্থ ম্যাচে এসে অবশেষে জয় পেলেন ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। আগের তিন ম্যাচে ভালো খেলেও হতাশা সঙ্গী হয়েছিল চেলসির। এবারও নরউইচ সিটির সঙ্গে চেলসিকে লড়াই করতে হয়েছে শেষ পর্যন্ত, তবে জয় আর হাতছাড়া হয়নি। ৩-২ গোলে জিতেছে চেলসি।
ক্যারো রোডে চেলসির জয়ে বড় অবদান ট্যামি আব্রাহামের। তরুণ স্ট্রাইকার আগের ম্যাচগুলোতে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন, তবে ল্যাম্পার্ড এদিনও ভরসা রেখেছেন তার ওপর। আরেক তরুণ মেসন মাউন্টও ভরসার প্রতিদান দিয়েছেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে গোল পেয়েছেন মাউন্ট।
ম্যাচের প্রথম ৩১ মিনিট দেখেছে চার গোল। তাতে দুইবার এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি, আর ঘরের মাঠে দুইবারই সমতায় ফিরেছে নরউইচ। ৩ মিনিটে ডানদিকে ডিবক্সের ঠিক পাশ থেকে সিজার আজপিলিকুয়েতাস করা ক্রস থেকে প্রথম সুযোগেই মেরে দেন আব্রাহাম। তাতেই গোল পেয়ে যায় চেলসি। কিন্তু তিন মিনিট বাদেই আবার টিমু পুকির স্কয়ার থেকে টড ক্যান্টওয়েল নেয়ার পোস্টে গোল করে করে সমতায় ফিরিয়ে আনেন ঘরের দলকে।
১৭ মিনিটে এরপর মাউন্ট করেন দারুণ এক গোল। ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের পাস ডিবক্সের ভেতর রিসিভ করে দ্রুত গতিতে দুইজন ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে ফারপোস্টে দুর্দান্ত এক ফিনিশে গোল করেন চেলসি মিডফিল্ডার। তবে এগিয়ে থেকে আর বিরতিতে যাওয়া হয়নি চেলসির। আগের দুই ম্যাচের মতো এদিনও গোল করেন পুকি। ফিনল্যান্ড ফরোয়ার্ড ৩১ মিনিটে লিগে নিজের পঞ্চম গোল করে চেলসিকে আবারও ঝামেলায় ফেলে দেন। ডানদিক থেকে ডিবক্সের ভেতর পাওয়া বলে কোণাকুণি ফিনিশে গোল করে প্রিমিয়ার লিগে প্রথম তিন ম্যাচেই গোল করা মাত্র দশম ফুটবলার হয়ে গেছেন পুকি।
ল্যাম্পার্ড এদিন একাদশে প্রথমে রেখেছিলেন পেদ্রোকে। স্প্যানিশ মিডফিল্ডার শেষ মুহুর্তে ইনজুরিতে পরে বাদ পড়েন দল থেকে। তাঁর জায়গায় নেমেছিলেন রস বার্কলি। তাতে চেলসির একাদশের গড় বয়স দাঁড়ায় ২৪ বছর ২০৮ দিন। যেটি পরে হয়ে গেছে ১৯৯৪ সালের পর প্রিমিয়ার লিগে চেলসির তরুণতম একাদশ।
তরুণতম একাদশে তরুণরাই পরে হাল ধরেছেন চেলসির। ৬৮ মিনিটে মাতেও কোভাসিচের পাস ডিবক্সের বেশ বাইরে পেয়েছিলেন আব্রাহাম। পরে কয়েক ধাপ এগিয়ে ভালো অ্যাঙ্গেল খুঁজে ডিবক্সের মাথা থেকে চেলসির জয়সূচক গোলটি করেছেন তিনি।