সেই ফার্গি টাইমেই ইতিহাস গড়ে হারল ইউনাইটেড
চেলসির সঙ্গে জয়ের পর উলভসের সঙ্গে ড্র। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নেমে এসেছিল মাটিতে। কিন্তু ক্রিস্টাল প্যালেস তাদের উপহার দিল মৌসুমের প্রথম বিভীষিকা। যে প্যালেসের কাছে প্রিমিয়ার লিগেই আগে কখনো হারেনি, তাদের সঙ্গে ওল্ড ট্রাফোর্ডেই হেরে গেল। তাও আবার ফার্গি টাইমে গোল খেয়ে!
ওলে গানার সোলশার দোষ দেবেন কাকে? চাইলে ডেভিড গি গিয়াকে দিতে পারেন। নির্ধারিত সময়ের পর যখন খেলাটা ১-১ গোলে শেষ হবে বলে মনে হচ্ছিল, ইউনাইটেডের পেনাল্টি বক্সের ভেতর ঢুকে পড়লেন প্যাট্রিক ভ্যান আনহল্ট। কাছের পোস্টে যে শট নিয়েছিলেন, সেটি আরও দশবারের মধ্যে হয়তো দশবারই ঠেকিয়ে দেবেন ডি গিয়া। কিন্তু পারলেন না আজ। এর আগে থিঁয়েরে অঁরিই শুধু যোগ করা সময়ে গোল পেয়েছিলেন ওল্ড ট্রাফোর্ডে।
অবশ্য চাইলে ভাগ্যকেও দুষতে পারেন সোলশার। ৩২ মিনিটে ভিক্টর লিন্ডলেফের ভুলে এগিয়ে যায় প্যালেস। অফসাইড ট্র্যাপে ফেলতে গিয়ে জর্ডান আইয়ুর কাছে বল তুলে দেন লিন্ডেলফ, কাছ থেকে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি আইয়ু। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে বেশ তেঁড়েফুঁড়েই নেমেছিল ইউনাইটেড। যদিও গোলের পরিষ্কার সুযোগ মিলছিল না খুব একটা। ৭০ মিনিটে এসে মিলে যায় তা। পেনাল্টি বক্সের ভেতর স্কট ম্যাকটমিনায়কে ফেলে দেন প্যালেসের একজন। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আগের সপ্তাহে পগবা পেনাল্টি মিস করায় আজ অবধারিতভাবে রাশফোর্ডের ওপর এসে পড়েছিল দায়িত্ব। কিন্তু ডান দিকে নেওয়া শটটা বারপোস্টে লেগে চলে যায় বাইরে, বেশিই নিখুঁত হয়ে যাওয়ায় আর গোল পেলেন না রাশফোর্ড। চেলসির পর মাত্র দ্বিতীয় দল হিসেবে মৌসুমের প্রথম এরপর তিন ম্যাচে পেনাল্টি পেল ইউনাইটেড, কিন্তু গোল পেল শুধু একটি। এরপর অবশ্য আরও একবার রাশফোর্ডকে ফেলে দিয়েছিলেন প্যালেসের একজন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভিএআরে আর পেনাল্টি পায়নি ইউনাইটেড।
সেই আফসোস অবশ্য ভুলেছে ৮৯ মিনিটে। এবার দারুণ একটা আক্রমণ থেকে বক্সের মাথায় দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন ড্যানিয়েল জেমস। ইউনাইটেড তখন এক পয়েন্ট পাচ্ছে, ওল্ড ট্রাফোর্ড সেরকম ধরেই নিচ্ছিল। কিন্তু ডি গিয়ার ভুলে হলো না সেটাও। ইউনাইটেড পেল মৌসুমের প্রথম পরাজয়ের স্বাদ।