আগুয়েরোর জোড়া গোলে বোর্নমাউথকে হারাল সিটি
গত সপ্তাহে টটেনহাম হটস্পারের বিপক্ষে ম্যাচে ম্যানেজার পেপ গার্দিওলার সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন তিনি। ম্যাচ শেষে অবশ্য আলিঙ্গনেই ম্যানেজারের সাথে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেছিলেন সার্জিও আগুয়েরো। গ্যাব্রিয়েল হেসুসের ইনজুরিতে আজ শুরু থেকেই নেমেছিলেন তিনি, গোল পেয়েছেন আবারও। আগুয়েরোর জোড়া গোলে বোর্নমাউথকে ভাইটালিটি স্টেডিয়ামে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
‘চেরি’দের বিপক্ষে আজ সিটির হয়ে নিজের ৪০০তম ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে নেমেছিলেন ডেভিড সিলভা। সিটির একাদশে ছিলেন বের্নার্দো সিলভা, কেভিন ডি ব্রুইন এবং রহিম স্টার্লিংরাও। ৭ মিনিটেই লিড নিতে পারত গার্দিওলার দল, কিন্তু বের্নার্দোর শট ফিরিয়ে দেন ‘চেরি’ গোলরক্ষক র্যামসডেল। অবশ্য এজন্য খুব একটা ভুগতে হয়নি তাদের। ১৩ মিনিটে ওলেগজান্ডার জিনচেঙ্কোর ক্রস ডি ব্রুইনের পায়ে লেগে আসে আগুয়েরোর দিকে। ঠান্ডা মাথায় বল নিয়ন্ত্রণে এনে সিটিকে লিড এনে দেন ‘কুন’।
সিটির বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও হাল ছাড়েনি বোর্নমাউথ। প্রথমার্ধে সিটিকে টেক্কা দিয়েছে সমানে সমান; কিন্তু কখনও নিজেদের ভুলে, আবার কখনও সিটি গোলরক্ষক এডারসন মোরায়েসের দক্ষতায় সমতায় ফেরা হয়নি তাদের। ৩৭ মিনিটে গোলের ছয় গজ দূর থেকেও এডারসনকে পরাস্ত করতে পারেননি নাথান আকে। এর মিনিট দুয়েক পর ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ’ থেকে অবিশ্বাস্য এক সেভে বোর্নমাউথ ফুলব্যাক অ্যাডাম স্মিথকে ফিরিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। সিটির মত দলের বিপক্ষে সুযোগ হাতছাড়ার করার চড়া মাশুলই অবশ্য দিতে হয়েছে এডি হাওয়ের দলকে।
বোর্নমাউথের বিপক্ষে নিজের শেষ ৯ ম্যাচে ১০ গোল করেছিলেন তিনি। আজ গোলের সংখ্যা ১১-তে নিয়ে গেলেন স্টার্লিং। ডেভিড সিলভার পাসে বল দুর্দান্তভাবে নিয়ন্ত্রণে এনে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। দুই গোলের লিড অবশ্য খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি সিটির। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে বোর্নমাউথকে ম্যাচে ফেরান প্রথমার্ধের বদলি ফুটবলার হ্যারি উইলসন। প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও হয়েছিল ‘এন্ড টু এন্ড’। ৫১ মিনিটে সিলভার শট সিনক্স ইয়ার্ড বক্স থেকে দারুণ ব্লকে ফিরিয়ে দেন বোর্নমাউথ অধিনায়ক স্টিভ কুক। মিনিটখানেক পর ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল বোর্নমাউথ, কিন্তু ক্যালাম উইলসনের শট এবারও ফিরিয়ে দিয়েছেন এডারসন।
তবে ‘চেরি’দের ম্যাচে ফেরার সব ধরণের সম্ভাবনা শেষ করে দেন আগুয়েরোই। ৬৩ মিনিটে সিলভার পাস থেকে সিটির জয় নিশ্চিত করেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। ম্যাচের বাকি সময় চেষ্টা করেও গোল শোধ করা হয়নি বোর্নমাউথের। ৩ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে থাকল গার্দিওলার দল। সমানসংখ্যক ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকল ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল।