• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ঘরের মাঠে নিউক্যাসেলের সঙ্গে হেরে গেল টটেনহাম

    ঘরের মাঠে নিউক্যাসেলের সঙ্গে হেরে গেল টটেনহাম    

    ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার জোয়েলিনটনকে ক্লাব রেকর্ড গড়ে কিনেছিল নিউক্যাসেল। টটেনহাম হটস্পারের মাঠে  সেই জোয়েলিটিনের গোলেই জিতে ফিরেছে ম্যাগপাইরা। ঘরের মাঠে লিগের শেষ দশ ম্যাচে এটি টটেনহামের মাত্র দ্বিতীয় হার।

    ২৭ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় ক্রিশ্চিয়ান আতসুর পাস থেকে গোলরক্ষক হুগো লরিস ওয়ান অন ওয়ানে হারিয়ে গোল করেন জোয়েলিনটিন। অ্যালান সেন্ট ম্যাক্সিমিন হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়লে তার জায়গায় নেমেছিলেন আতসু।

    গোল হজমের পরও অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি টটেনহাম। একাদশে প্রথমবারের মতো ফিরেছিলেন হিউং মিন সন। প্রথমার্ধে তার ভলি একবার ঠেকিয়ে দেন নিউক্যাসেল গোলরক্ষক, আরেকবার তিনি শট মেরেছেন বাইরে দিয়ে। নইলে ফেরাটা স্মরণীয় করে রাখতে পারেন সন।

    নিউক্যাসেরলের জমাট মিডফিল্ড আর পাঁচজনের রক্ষণের বিপরীতে টটেনহাম খেলা নিয়ন্ত্রণ করে গেলেও গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছিল। আর নিউক্যাসেলও সময়ের সঙ্গেই আরও বেশি রক্ষণাত্মক মেজাজে খেলা চালিয়ে যাচ্ছিল।

    দ্বিতীয়ার্ধে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন ও জিওভানি লো সেলসোকে বদলি হিসেবে নামান মাউরিসিও পচেত্তিনো। লো সেলসোর একটি পাস থেকে হ্যারি কেইনকে ডিবক্সের ভেতর চ্যালেঞ্জ করেছিলেন জামাল লাসেলস, তবে রেয়াফ্রি মাইক ডিন তখন পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি। ভিএআরও রেফারির সিদ্ধান্ত আর বদলায়নি। তাই আর হার এড়ানোর সুযোগও পাওয়া হয়নি টটেনহামের।

    ম্যানেজেরিয়াল ক্যারিয়ারের ৫০০ তম ম্যাচটি তাই ঘরের মাঠে অপ্রত্যাশিত হারে শেষ হলো পচেত্তিনোর। পরের ম্যাচে তার দলের প্রতিপক্ষ নর্থ লন্ডনের আরেক ক্লাব আর্সেনাল। তিন ম্যাচে এক জয়, এক ড্র ও এক হার নিয়ে টটেনহামের অবস্থান সাতে।  আর তৃতীয় ম্যাচে এসে নিউক্যাসেলের ম্যানেজার হিসেবে প্রথম জয় পেলেন স্টিভ ব্রুস।