নতুন মৌসুমের জন্য ঢাকার কাছাকাছি ভেন্যু খুঁজছে বাফুফে
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমের জন্য ঢাকার কাছাকাছি ভেন্যু খুঁজছে বাফুফে। নতুন মৌসুমে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বেজোড়ের পরিবর্তে জোড় সংখ্যায় আনার ব্যাপারেও দাবি জানিয়েছে ক্লাবগুলো। সোমবার বাফুফে কার্যালয়ে পেশাদার লিগ কমিটির সভা শেষে এসব সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী।
মূলত তিনটি বিষয়ে ক্লাবগুলো নিজেদের মতামতের কথা জানিয়েছে পেশাদার লিগ কমিটিকে। সেগুলো পরবর্তী সভায় বাস্তবায়নের জন্য তোলা হবে বলে জানিয়েছেন সালাম মুর্শেদী। সভায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ২০১৯-২০ মৌসুম শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ জানুয়ারি। এর আগে ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে ফেডারেশন কাপ। লিগ দীর্ঘায়িত না করতে ঢাকার আশেপাশে ভেন্যু নির্ধারণ করতে চায় পেশাদার লিগ কমিটি।
লিগের সময় দীর্ঘায়িত না করতেই ঢাকার আশেপাশে ভেন্যু খুঁজবে বাফুফে। প্রস্তাবিত নতুন স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়াম ও কমলাপুর স্টেডিয়াম। আর ঢাকার বাইরে নরসিংদী ও কুমিল্লা স্টেডিয়াম। আগেরবারের ভেন্যুগুলো বাদ পড়বে কী না সেটা নিশ্চিত করে না জানালেও মুর্শেদী জানাচ্ছেন ভেন্যু কমার কোনো সুযোগ নেই, "আগামী বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী; বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনেক খেলা থাকবে। আমরা ঢাকার কাছাকছি কিছু ভেন্যুর কথা ভাবছি লিগ আয়োজনের জন্য। তবে অবশ্যই সেসব মাঠের অবকাঠামো ও মাঠের অবস্থা সম্পর্কে আগে নিশ্চিত হতে হবে।"
"আমরা নরসিংদীর কথা ভাবছি। আর্মি স্টেডিয়ামে তো সব কিছু প্রস্তুত। কুমিল্লার মাঠ, আর কমলাপুর মাঠে টার্ফে তো বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচও হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর সময় এটা একটা চ্যালেঞ্জ। কাছাকাছি স্টেডিয়ামে হলে ৪/৫ দিন গ্যাপের বদলে ৩ দিনের গ্যাপেই খেলা আয়োজন করা যাবে। চিটাগং আবাহনী শেখ কামাল ক্লাব আপ আয়োজন করছে। সেখানে যেহেতু খেলা হবে ভেন্যু ঠিকঠাকই থাকার কথা। আমরা সে ব্যাপারে জানাব, দরকার হলে নির্দেশ দেব।"
"ভেন্যু কমবে না, বরং বাড়তেও পারে সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত থাকলে। কমানোর কোনো সুযোগ নেই।"
২০১৮-১৯ মৌসুমে নওফেল স্পোর্টিং ক্লাব ও টিম বিজেএমসি শেষ করেছে রেলিগেশন জোনে। একটি ক্লাব অবনমন করিয়ে নতুন দুইটি ক্লাবকে প্রিমিয়ার লিগে সুযোগ দেওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল আগে। তবে জোড় সংখ্যক ক্লাব প্রিমিয়ার লিগে খেলাতে কোন প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে বাফুফে সেটা নিশ্চিত করে জানাননি সালাম মুর্শেদী।
"এই নিয়ে আমার দশ বছর হলো লিগ পরিচালনার। আমার মনে হয় এবারের লিগেই সবচেয়ে বেশি প্রতিযোগিতা হয়েছে। আমরা ছয়টি ভেন্যুতে খেলা আয়োজন করেছি। তবে জাতীয় নির্বাচন, জাতীয় দলের খেলা ও এএফসি কাপের জন্য গতবার লিগ দীর্ঘায়িত হয়েছে।"
"এই মুহুর্তে লিগে ১৩টি দল রয়েছে। অনেক ক্লাবকে একটি ম্যাচ খেলার জন্য ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্তও অপেক্ষা করতে হয়েছে। ক্লাবগুলো চায় লিগে জোড়সংখ্যক দল অংশগ্রহণ করুক। তারা সেরকম সাজেশন দিয়েছে। পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্তগুলো কার্যকর করার চেষ্টা করব।"