• আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট
  • " />

     

    পেসারদের ক্ষেত্রে কন্ডিশনের বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন ল্যাঙ্গেভেল্ডট

    পেসারদের ক্ষেত্রে কন্ডিশনের বাস্তবতা মেনে নিচ্ছেন ল্যাঙ্গেভেল্ডট    

    তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহি- আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে থাকা তিন পেসার প্রস্তুতি ম্যাচে মোট ২০ উইকেটের মাঝে নিয়েছেন অর্ধেক ১০টি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যাপারটা একটু অনিয়মিতই। চট্টগ্রাম টেস্টেও টার্নিং উইকেটের সম্ভাবনাই বেশি। সেক্ষেত্রে একাধিক পেসার নাও থাকতে পারেন বাংলাদেশ একাদশে। তবে সবকিছুই অধিনায়কের ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে পেস বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ডট বলছেন, আপাতত পেসারদের পারফরম্যান্সে খুশি তিনি। 

    দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম ম্যাচ-কন্ডিশনে পেসারদের বোলিং দেখার সুযোগ পেলেন ল্যাঙ্গেভেল্ডট। পেসারদের নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ, উইকেটের জন্য বেশি মরিয়া ছিলেন তারা, “তারা দ্রুত শেখে। প্রথম দিন তারা প্রতিটি বলেই উইকেট নিতে চাচ্ছিল। আমার কাছে সবকিছুই ধারাবাহিকতার ওপর নির্ভরশীল। যেমন ১২টি ডট বল টানা করে যাওয়া। ১২টি ডট বল আপনাকে একটি উইকেট এনে দেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। অবশ্য এ কন্ডিশনে এটি কঠিন। তবে আমি খুশি, তারা দ্রুত শিখছে।” 

    স্কোয়াডে থাকা তিন পেসার প্রস্তুতি ম্যাচে সমানভাবে মুগ্ধ করেছেন ল্যাঙ্গেভেল্ডটকে। ধীরে ধীরে তারা তার সঙ্গে ফ্রি হচ্ছেন বলেও জানিয়ে তিনি বলেছেন, পেসারদের উন্নতি নির্ভর করছে বেশি বেশি খেলার ওপর, “বিশেষ করে গত দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ দেখাটা স্বস্তিকর ছিল। প্রথম দিন একটু চিন্তায় ছিলাম। এরপর কাজ করেছি, উন্নতি হয়েছে।”

    “তারা ভাল করেছে। কম রান দিয়েছে। দুইদিক থেকে চাপ তৈরি করেছে। শুরুতে একটু এলোমেলো ছিল, উইকেট নিতে চাচ্ছিল দ্রুত। ভুল থেকে শিখতে হবে। যত বেশি খেলবে, তত বেশি শিখবে। এরপর তত বেশি কথা বলবে”, বলছেন তিনি। 

    মূলত ধারাবাহিকভাবে একই লেংথে বল করে যাওয়াটাই উন্নতির মূলমন্ত্র বলে মানছেন তিনি, “ধারাবাহিকতায় নজর দিতে হবে। টানা বল করে যেতে হবে। এরা উইকেট নিতে চাচ্ছে প্রতি বলেই। টেস্ট ক্রিকেটে আপনাকে ধারাবাহিক থাকতে হবে। দুই দিক থেকে চাপ তৈরি করতে হবে। 

    “টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা রাখতে হবে গুডলেংথে। ফিল্যান্ডারের মতো বোলারকে দেখেন। তার খুব পেস নেই। তবে ধারাবাহিকতা আছে। তবে (বাংলাদেশ পেসারদের) সবাই মুগ্ধ করেছে আমাকে। তারা লেংথের ওপর জোর দিয়েছে। (এমনভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে) যাতে তিনটির মতো স্পেল করতে পারে এক দিনে।”  

    অবশ্য দুইদিক থেকে চাপ তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দুইদিক থেকেই পেসার নাও পেতে পারে। সবকিছুই নির্ভর করছে চট্টগ্রামের উইকেটের প্রকৃতির ওপর, আর অধিনায়কের চাহিদার ওপর, “পেসার হিসেবে আমি বেশি পেসার চাইব দলে খেলাতে। তবে আপনাকে অবশ্যই কন্ডিশন বুঝতে হবে। সে অনুযায়ী খেলতে হবে। এটা সাকিবের (বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক) ওপর। যদি সে বলে তিনজনকে খেলাতে। তাহলে তাই হবে। 

    “(তবে) আমি এখানে এসে খেলে দেখেছি, আমি জানি, এ কন্ডিশনে পেসাররা ভুগবে। শেষ যেবার আমরা খেলতে এসেছিলাম, আমাদের পেসাররা ভুগেছিল। যদি অধিনায়ক একজনকে খেলাতে চান, আমার কাজ হচ্ছে তাকে প্রস্তুত করা।”