হোঁচট খেয়েই চলছে ইউনাইটেড
দুর্দশা কাটছেই না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। চেলসির সঙ্গে জয়ের পর উলভসের সঙ্গে ড্র, এরপর ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে তো নিজের মাঠেই হেরে গেল। এবার দশ জনের সাউদাম্পটনকে চেপে ধরেও হারাতে পারল না ইউনাইটেড, সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই।
আগের দুই ম্যাচেই পেনাল্টি মিসের খেসারত দিতে হয়েছে ইউনাইটেডকে। আজ অবশ্য সেরকম কিছু হয়নি, তবে গোল মিসের মাশুল দিতে হয়েছে ঠিকই। মার্কাস রাশফোর্ডের স্ট্রাইকিং সামর্থ্যের ওপর কতটুকু ভরসা রাখা যায় সেই প্রশ্ন উঠে যায়। তাও সোয়ানসি থেকে আসা তরুণ ড্যানিয়েল জেমস ছিলেন বলে রক্ষা! নইলে এই ম্যাচেও গোল করা হতো না ইউনাইটেডের।
শুরুটা অবশ্য খারাপ করেনি সাউদাম্পটন। দশ মিনিটের মধ্যেই পেয়ে যেতে পারত, তবে সোফিয়ান বুফলের শট একটুর জন্য চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে। ইউনাইটেডকে অবশ্য গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে মাত্র মিনিট দশেক। ম্যাকটমিনের পাসটা বাঁ প্রান্তে পেয়ে যান জেমস। সাউদাম্পটন ডিফেন্ডাররা তাকে চার্জ করতে একটু বেশি সময় অপেক্ষা করে ফেলেছিলেন। সেই সুযোগে ডান পায়ের দারুণ একটা বাঁকানো শটে শট জড়িয়ে দেন জালে। লিগে চার ম্যাচের মধ্যে তিন বারই গোল পেলেন সোয়ানসি থেকে আসা এই তরুণ উইঙ্গার।
এই অর্ধেই অবশ্য জেমস আরেকটা সুযোগ পেয়েছিলেন, এবার তাঁর বাঁ পায়ের জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন অ্যাঙাস গুন। প্রথমার্ধে আর কেউ সেভাবে কোনো সুযোগ পাননি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫৪ মিনিটে গোল করার একটা সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় সাউদাম্পটন। কিন্তু ডেভিড ডি গিয়াকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি চে অ্যাডামস, মেরে দেন বাইরে। এর মিনিট চারেক পরেই গোল শোধ করে দেয় সাউদাম্পটন। কর্নারটা ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি ইউনাইটেড। ফিরতি ক্রস থেকে দূরের পোস্টে হেড করে গোল করেন জানিক ভেস্টেরগার্ড।
এরপর একটা লাইফলাইন পায় ইউনাইটেড, ৭৩ মিনিটে কেভিন ডানসো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন। গোলের জন্য মরিয়া সোলশার নামান গ্রিনউড, লিনগার্ড, মাতিচদের। কিন্তু সেইন্টসদের চেপে ধরেও আর গোল পাওয়া হয়নি। একবার রাশফোর্ডের শট ঠেকিয়ে দিয়েছেন গুন, জেমস ফাঁকায় পেয়েও শট পোস্টে রাখতে পারেননি, ইয়ংয়ের দূর থেকে বাঁক নেওয়া শট একটুর জন্য চলে গেছে পোস্টের বাইরে। পগবা, পেরেরা, রাশফোর্ড আজ ছিলেন নিষ্প্রভ। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে ইউনাইটেডকে।