রোমানিয়ায় রামোসের রেকর্ডের রাত
দশ জনের স্পেনকে ভুগিয়েও শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচ থেকে কিছু পাওয়া হয়নি রোমানিয়ার। স্পেনের কোচ হিসেবে প্রথম ম্যাচে শেষ পর্যন্ত জয়ই পেয়েছেন রবার্তো মরেনো। রোমানিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে স্পেন। ইউরোপ বাছাইয়ের গ্রুপ 'এফ' এ ৫ ম্যাচ শেষে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানটা আরও পাকাপোক্ত করেছেন দুইবারের ইউরো জয়ীরা।
বুখারেস্টে অবশ্য ম্যাচের মূল আকর্ষণ হয়ে ছিলেন সার্জিও রামোস। ২৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে স্পেনের সর্বকালের গোলদাতাদের তালিকায় দশ নম্বরে উঠে এসেছেন এই ডিফেন্ডার। দানি সেবায়োসকে ফাউল করেছিলেন জর্জিও পুস্কাস। পরে স্পটকিক থেকে স্পেনের জার্সিতে ২১ তম গোলটি করেন রামোস। যার দশটিই এলো পেনাল্টি থেকে। মোট ১২ টি পেনাল্টি নিয়ে মাত্র দুইবার ব্যর্থ হয়েছিল তিনি। সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় দশ নম্বরে রামোসের সঙ্গী মিচেল। আর দুই গোল করলে রামোস টপকে যাবেন আলফ্রেড ডি স্টেফানোকেও।
গোল করেই অবশ্য ক্ষান্ত হননি রামোস। উদযাপনের জন্য পরে রেফারির হলুদ কার্ডও দেখতে হয়েছে তাকে। রোমানিয়া আল্ট্রাসদের সামনে গিয়ে হাতের আঙুল গোল করে চোখের সামনে এনে গোল উদযাপন করেছিলেন, সেটা তাঁতিয়ে দিয়েছিল ঘরের সমর্থকদের। সে কারণেই দেখেছেন হলুদ কার্ড। একটু বিতর্ক না থাকলে বোধ হয় উদপযানটা ঠিক জমে না রামোসের!
প্রথমার্ধ শেষের আগেই দুই গোলের লিডটা পেতে পারত স্পেন। তবে পাকো আলকাসের রদ্রিগোর ক্রস করে সহজ এক সুযোগ হাতছাড়া করেন। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে সেই আফসোস ভোলেন আলকাসের। জর্দি আলবার স্কয়ার পাস গোলের সামনে পেয়ে দ্বিতীয় দফায় আর ভুল করেননি আলকাসার। অবশ্য ওই গোলে সবচেয়ে বড় অবদান সেবায়োসের। আর্সেনাল মিডফিল্ডারের দারুণ একটি পাস আলবা-আলকাসেরকে তৈরি করে দিয়েছিল গোলের সুযোগ।
৪৭ মিনিটে দুই গোলের লিড নিয়েও অবশ্য ম্যাচ কঠিন হয়ে যায় স্পেনের জন্য। ৫৯ মিনিটে ফ্লোরিন আন্ডনে হেডে গোল করে রোমানিয়াকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। ডান দিক থেকে যাওয়া ক্রসে পুস্কাসকে ঠিকমতো মার্ক করতে পারেননি রামোস, পরে ডিবক্সের ভেতর দ্বিতীয় হেডে গোল করেন আন্ডনে।
এর ২০ মিনিট পর পুস্কাসকেই আনাড়ি এক ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন ডিয়েগো ইয়োরেন্তে। ম্যাচের শেষ অংশ তাই স্পেন খেলেছে দশ জন নিয়ে। স্পেন কোচ ম্যাচের আগে জানিয়েছিলেন গোলরক্ষক অদল-বদল করিয়ে খেলাতে পারেন তিনি। অবশ্য রোমানিয়ার বিপক্ষেও স্পেনের গোলবারের নিচে আগের তিন ম্যাচের মতো পাহারায় ছিলেন কেপা আরিজাবালাগা। ২-১ গোলে পিছিয়ে থাকা অবস্থায় দারুণ এক সেভও করেছেন তিনি। এরপর ডেভিড ডি গিয়ার একাদশে জায়গা পাওয়াটা আরেকটু কঠিনই হয়ে গেল হয়ত।