• ইউরো বাছাইপর্ব
  • " />

     

    পিছিয়ে পড়েও বেলোত্তির জোড়া গোলে ইতালির পাঁচে পাঁচ

    পিছিয়ে পড়েও বেলোত্তির জোড়া গোলে ইতালির পাঁচে পাঁচ    

    ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘জে’-তে আগের ৪ ম্যাচই জিতেছিল তারা। কিন্তু আর্মেনিয়ার মাঠ ভাজগেন আনভানে ম্যাচ ১০ মিনিট বাকি থাকতে সে রেকর্ড হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা তাড়া করছিল ইতালিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পূর্ণ পয়েন্ট নিয়েই ফিরেছে ‘আজ্জুরি’রা। আন্দ্রেয়া বেলোত্তির জোড়া গোলে আর্মেনিয়ানদের ৩-১ গোলে হারিয়ে ‘জে’ ৫ ম্যাচে পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘জে’ গ্রুপের শীর্ষেই থাকল ইতালি। ২০০৮ সালের পর এবারই প্রথম টানা ৬ ম্যাচে জয় পেল ইতালি, সেবার 'আজ্জুরি'দের কোচ ছিলেন রবার্তো ডোনাডুনি।

     

     

    আর্মেনিয়াতে ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ইতালি। ১০ মিনিটে দুর্দান্ত এক প্রতি-আক্রমণে বারশেঘানের পাসে দলকে লিড এনে দেন কারাপেতিয়ান। উল্লাসে ফেটে পড়ে ভাজগেন স্টেডিয়াম। তবে এরপর ঠিকই নড়েচড়ে বসে ইতালি। ১৬ মিনিটেই ম্যাচে ফিরতে পারত তারা, কিন্তু মার্কো ভেরাত্তির ক্রসে ডিফেন্ডার আলেসিও রোমানিওলির হেড চলে যায় আর্মেনিয়ান গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে। ২৩ মিনিটে আবারও সুযোগ পেয়েছিল ইতালি। কিন্তু ফেদেরিকো বের্নার্দেস্কির শট দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দেন হায়রাপেতিয়ান। অবশ্য এর মিনিট পাঁচেক পর সমতাসূচক গোলের দেখা ঠিকই পায় ইতালি।

     

     

    ২৮ মিনিটে চেলসি ফুলব্যাক এমারসনের ক্রসে ফার পোস্টে ডানপায়ের আলতো টোকায় দলকে সমতায় ফেরান বেলোত্তি। সমতায় ফিরেই যেন স্বরূপে জ্বলে উঠে রবার্তো মানচিনির দল। এক মিনিট পরেই আর্মেনিয়ার তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বের্নার্দেশির আগুনে শট হায়রাপেতিয়ানকে পরাস্ত করলেও ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। সমতায় থাকলেও আর্মেনিয়ান রক্ষণভাগ ভেদ করতে করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল ইতালিকে। কিন্তু প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মেরে বসে আর্মেনিয়া। হাওয়ায় ভাসা বল দখলে আনতে লাফিয়ে উঠেন কারাপেতিয়ান, কিন্তু ইতালি অধিনায়ক লিওনার্দো বনুচ্চির মুখে কনুই দিয়ে আঘাত করে বসায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

     

     

    দশজনের বিপক্ষেও অবশ্য কাজটা সহজ হয়নি ইতালির। ৫-৪-০ ফর্মেশনে আর্মেনিয়ার ‘টুই লাইনস অফ ডিফেন্স’-এর সামনে বারবার খালি হাতে ফিরতে হচ্ছিল বেলোত্তিদের। উল্টো লিড নেওয়ারও সুযোগ পেয়েছিল আর্মেনিয়া। ৬০ মিনিটে ঘাজারিয়ানের ফ্রিকিক ক্লিয়ার করেন বনুচ্চি। ক্লিয়ারেন্স পেয়ে হারোয়ানের শট ইতালি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডনারুমাকে পরাস্ত করলেও বল বাইরে চলে যায় ক্রসবার ঘেঁষে। অল্পের জন্য বেঁচে যায় ইতালি। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের আশায় লরেঞ্জো পেলেগ্রিনিকে নামিয়ে দিয়েছিলেন মানচিনি। ইতালি লিড নেয় তার গোলেই।

    ৭৭ মিনিটে বনুচ্চির ক্রসে হেড করে আর্মেনিয়ানদের দারুণ এক ড্রয়ের স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ করে দেন তিনি। তিন মিনিট পর জয় নিশ্চিত করেন বেলোত্তি, এই গোলেরও উৎস ছিলেন আরেক বদলি ফুটবলার সেনসি। তার পাস থেকে ডিবক্সে আর্মেনিয়ার দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বেলোত্তির নেওয়া শট ফেরাতে পারেননি হায়রাপেতিয়ান। শেষ পর্যন্ত বাছাইপর্বে শতভাগ জয়ের রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখেই মাঠ ছাড়ে মানচিনির দল। ২০০৬ সালে ফ্রান্সের কাছে ৩-১ গোলে হারার পর ইউরো বাছাইপর্বের টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত থাকল ইতালি, ইউরোপের যেকোনও দলের জন্য যা সর্বোচ্চ।