ক্যারিয়ারে কখনোই ডাইভ দেইনি: কেইন
আর্সেনালের বিপক্ষে নর্থ লন্ডন ডার্বিতে তার বিরুদ্ধে ডাইভ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন 'গানার' সমর্থকেরা। ডিবক্সে পড়ে গেলেও অবশ্য পেনাল্টি আদায় করতে পারেননি হ্যারি কেইন; কিন্তু সে ম্যাচের পর থেকেই দারুণ সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাকে। অবশেষে এ ব্যাপারে মুখ খুলেছিলেন ইংলিশ স্ট্রাইকার। কেইন বলেছেন, ক্যারিয়ারে কখনোই ডাইভ দেননি তিনি; ভবিষ্যতেও দিবেন না।
শুধু আর্সেনালের বিপক্ষে নয়, এর আগের সপ্তাহে নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের বিপক্ষেও ডাইভ দেওয়ার জন্য মাঠেই প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের সাথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন কেইন। কোনোবারই অবশ্য হলুদ কার্ড দেখতে হয়নি তাকে। ইএসপিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐ দুই ম্যাচের কোনোটিতে ডাইভ দিয়েছিলেন কি না প্রশ্নের জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন কেইন, 'আমি ক্যারিয়ারে কখনোই ডাইভ দেইনি এবং আশা করি ভবিষ্যতেও দিব না। আর্সেনাল ম্যাচের পেনাল্টি ৫০-৫০ ছিল। এটা অনেকটা আগের ম্যাচে নিউক্যাসেলের বিপক্ষে আমাদের না পাওয়া পেনাল্টির মতই। আমি এমন কেউ যে তার শরীর ভালভাবে ব্যবহার করে। যেকোনও লেভেলেই স্ট্রাইকারদের এই ক্ষমতা থাকতে হবে। এসব ঘটনায় মাঠের মাঝে ফ্রিকিক দিলেও ডিবক্সে পেনাল্টি দেওয়া হয় না অনেক সময়। মানুষের মতামত থাকতেই পারে। এসবে আমি কান পাতি না। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মাঠে নিজের সেরাটা দিয়ে দলের জন্য জয় ছিনিয়ে আনা।'
কেইনের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন তার টটেনহাম হটস্পার এবং ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সতীর্থ ড্যানি রোজ, 'হ্যারির ডাইভ দেওয়া বিতর্কের ব্যাপারে আমি কিছুই শুনিনি। তবে সে কখনোই এসবে কান পাতে না। আমার মনে হয় দর্শকদের তার খেলার দিকে মনযোগ দেওয়া উচিত। তার গোল করার রেকর্ড বিশ্বের অন্যতম সেরা। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ না এনে দর্শকদের উচিত তার খেলা উপভোগ করা।' এই বিতর্কের মাঝেই বুলগেরিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন কেইন। রোজ মনে করেন; এভাবেই নিজেকে প্রমাণ করাটা অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছেন কেইন, 'দেশ এবং ক্লাবের হয়ে তার রেকর্ড কাকতালীয় কিছু না। হ্যাটট্রিক করে নিন্দুকদের মুখে কুলুপ এঁটে দেওয়া তার স্বভাবসুলভ জবাব। সে মদ্যপান করে না, বাইরেও তেমন একটা বের হয় না।'
কেইনের পেশাদারিত্বেরও প্রশংসা করেছেন রোজ, 'হ্যারি ছুটিতে থাকলেও জিমে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে শরীরচর্চা করে। সে অনুশীলনেও সবার আগে আসে, সবার পরে মাঠ ছাড়ে। আর যদি খেলা আশানুরূপ না হয় বা সে নিজে ফর্মে ভুগে; তাহলে ড্রেসিংরুমে সবার আগে সে নিজেই ভুল স্বীকার করে এবং দায়ভার নিয়ে নেয়। এরকম দুর্দান্ত এক পেশাদারি ফুটবলারের সাথে একই দলে খেলতে পারাটা আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের।'