দুর্বল অ্যান্ডোরার বিপক্ষে ফ্রান্সের সহজ জয়
স্তাদ দে ফ্রান্সে ২০২০ ইউরো বাছাইপর্বের ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে অ্যান্ডোরাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। গোল করেছেন কিংসলে কোমান, ক্লেমেন্ত লংলে এবং উইসাম বেন ইয়েদের। গ্রুপের অন্য খেলার মলদোভাকে ৪-০ হারিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। ৬ ম্যাচ শেষে দুই দলেরই ১৫ পয়েন্ট হলেও হেড টু হেডে তুরস্কের চেয়ে পিছিয়ে থাকায় টেবিলের দুইয়ে থাকল দিদিয়ে দেশমের দল।
নিজেদের মাঠে গ্রুপের তলানির দল অ্যান্ডোরার বিপক্ষে একাদশে একাধিক পরিবর্তন এনেছিলেন দেশম। দলে এসেছিলেন কোমান, অলিভিয়ের জিরু, লুকাস ডিনিয়ে, ইকোনে এবং ডিগবো। ২ মিনিটে ইকোনের গোলেই লিড নিতে পারত ফ্রান্স। কিন্তু তরুণ ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ডের শট দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দেন অ্যান্ডোরা গোলরক্ষক জোসেপ গোমেজ। ম্যাচের প্রথম মিনিটে ৯২ ভাগ বল দখল ছিল ফ্রান্সের, লিডটা নিতেও দেরি করেনি তারা।
১৮ মিনিটে ইকোনের থ্রু পাসে অ্যান্ডোরা ডিফেন্ডার রুবিওকে কাটিয়ে গোমেজকে পরাস্ত করেন কোমান। লিড নেওয়ার মিনিট সাতেক পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত ফ্রান্স। ২৫ মিনিটে আঁতোয়া গ্রিযমানের শট গোমেজ ফিরিয়ে দিলেও গোলের সামনে থেকে বল জালে পাঠাতে পারেননি জিরু।পরের মিনিটেই ডিবক্সে গ্রিযমানকে ফাউল করে ফ্রান্সকে পেনাল্টি উপহার দিয়েছিলেন সান নিকোলাস। ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগ পান বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
কিন্তু আগের ম্যাচে আলবেনিয়ার মত এবারও ১২ গজ থেকে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন গ্রিযমান। প্রথমার্ধে গোমেজের দক্ষতা এবং ফ্রান্সের দূর্বল ফিনিশিংয়ে এক গোলের লিড নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দেশমকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জয় নিশ্চিত করেন লংলে। ৫২ মিনিটে গ্রিযমানের ক্রসে হেড করে গোল করেন বার্সেলোনা ডিফেন্ডার।
এর মিনিটখানেক পরই আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু কোমানের হেড দুর্দান্তভাবে ফিরিয়ে দেন গোমেজ। ম্যাচ হারলেও নিজের পারফরম্যান্সের নজর কেড়েছেন অ্যান্ডোর গোলরক্ষক। পুরো ম্যাচে ফ্রান্স শট নিয়েছে ৩১টি, অ্যান্ডোরা মাত্র ১টি। কিন্তু ঐ এক শটেই আরেকটু হলে গোল পেতে পারত অ্যান্ডোরা।
৭৩ মিনিটে সের্ভোসের হেড ফ্রান্স গোলরক্ষক হুগো লরিসকে পরাস্ত করলেও চলে যায় গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে। অ্যান্ডোরার মিসের পরপরই জিরুর বদলে বেন ইয়েদেরকে নামিয়ে দেন দেশম। কোচের আস্থার প্রতিদানটা ঠিকই দিয়েছেন সাবেক সেভিয়া স্ট্রাইকার। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে নাবিল ফেকিরের ক্রসে গোলের সামনে থেকে আলতো টোকায় অ্যান্ডোরার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন তিনি, ফ্রান্সও পায় আরও এক বড় জয়।