সিপিএলের অনাপত্তিপত্র পেলেন না ডিকভেলা-পেরেরা
এই মাসের শেষে হতে যাওয়া পাকিস্তানে সফর থেকে স্বেচ্ছায় সরে গিয়েছেন শ্রীলংকার দশ সিনিয়র ক্রিকেটার। তাদের মাঝে নিরোশান ডিকভেলা ও থিসারা পেরেরা এই সময়টা কাটাতে চেয়েছিলেন সিপিএল খেলেই। তবে শ্রীলংকান বোর্ড ডিকভেলাকে সিপিএলে খেলার অনাপত্তিপত্র দেয়নি। পেরেরাও পুরো সিপিএল খেলার জন্য অনুমতি চেয়েও পাননি।
শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী ডি সিলভা জানিয়েছেন, স্বেচ্ছায় জাতীয় দলের সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ালে তাকে বিদেশি লিগে খেলার অনুমতি দেওয়া হবে না। ডি সিলভা বলছেন, ডিকভেলাদের অনাপত্তিপত্র আবেদন করার আগে এই নিয়ম জানা উচিত ছিল, ‘জাতীয় দলের সিরিজ থাকলে আমরা ছাড়পত্র দেইনা, এটা তাদের জানা উচিত ছিল। ডিকভেলাকে তাই অনাপত্তিপত্র দেওয়া হবে না, সে দলের সাথেই থাকবে। আমরা পেরেরাকেও ১৫ সেপ্টেম্বরের আগে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছি। সেও দলের সাথে অনুশীলন করবে।’
পেরেরা এরই মাঝে সেন্ট লুসিয়ার হয়ে সিপিএলের দুই ম্যাচ খেলেছেন। পুরো টুর্নামেন্ট খেলার জন্য অনুমতি চেয়েও শেষ পর্যন্ত পেলেন না তিনি। এদিকে ইসুরু উদানাকেও সিপিএলের একটি দল কিনেছিল। তবে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার জন্য সিপিএলকে না বলে দেন এই বাঁহাতি পেসার। তাই বোর্ডের কাছে অনাপত্তিপত্রও চাননি তিনি।
এদিকে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে পাকিস্তান সফর থেকে মালিঙ্গা-করুনারত্নেদের সরে দাঁড়ানোয় হতাশ লংকান বোর্ড, জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা, ‘এই সিরিজের জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছিল। বিশ্ব একাদশের হয়ে অনেক ক্রিকেটারই পাকিস্তানে খেলতে গেছেন। পাকিস্তানও নিরাপত্তার ব্যাপারটা সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর বেশি আর কী চাইতে পারেন ক্রিকেটাররা? আমি বুঝতে পারছি লাকমলের জন্য পাকিস্তানে যাওয়াটা কঠিন হতো। কিন্তু আমাদের এশিয়ান প্রতিবেশীদের তো সাহায্য করা দরকার। শ্রীলংকাতে ইস্টার সানডের সেই হামলার পরপরই পাকিস্তান তাদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে পাঠিয়েছিল। আমরা কারো জীবন ঝুঁকির মাঝে ফেলতে চাই না, কিন্তু এখন পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের চেয়ে অনেক উন্নত।’