• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    পিছিয়ে পড়েও মানে-সালাহ মিলে হারালেন নিউক্যাসেলকে

    পিছিয়ে পড়েও মানে-সালাহ মিলে হারালেন নিউক্যাসেলকে    

    অ্যানফিল্ডকে চমকে গিয়ে শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল নিউক্যাসেল। কিন্তু এই লিভারপুলের ফিরে আসার অভ্যাস হয়ে গেছে আরও আগে। আগের চারবারও ঘরের মাঠে যখন লিভারপুল পিছিয়ে পড়েছে শুরুতে, জিতে ফিরেছে প্রতিবার। এবার সংখ্যাটা পাঁচে নিয়ে গেল তারা। তাতে প্রিমিয়ার লিগে শতভাগ জয়ের রেকর্ডও অক্ষুণ্ণ থাকল। নিউক্যাসেলকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে সবার ওপরে জায়গাটা আরেকটু শক্ত করেছে লিভারপুল। 

    জেত্রো উইলিয়ামসের বুলেট গতির শট ৭ মিনিটেই গোলে পরিণত হয়। এরপর জোড়া গোল করে সাদিও মানে প্রথমার্ধ শেষের আগেই ফিরিয়ে আনেন লিভারপুলকে। ২৮ মিনিটে বাম দিক থেকে শুরু হওয়া আক্রমণে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের কাছ থেকে পাস পেয়েছিলেন মানে। এরপর তিনিও টপ কর্নারে বল জড়ান ডিবক্সের ভেতর থেকে। 

    সালাহ-মানেদের সঙ্গে ইউর্গেন ক্লপ এদিন আক্রমণে নামিয়েছিলেন ডিভক অরিগিকে। প্রথমার্ধেই রবার্তো ফিরমিনোর বদলি হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এরপর লিভারপুলের বাকি দুই গোলেই অ্যাসিস্ট করেছেন ব্রাজিলিয়ান। ৪০ মিনিটে মিডফিল্ড থেকে থ্রু পাস দিয়েছিলেন মানেকে। নিউক্যাসেল গোলরক্ষক দুভ্রাভকা এগিয়ে এসে লুফে নিতে গিয়েছিলেন বল। কিন্তু মিস করেছেন, মানে পরে এক খোঁচায় ফাঁকা বারে বল পার করে দিয়েছেন গোললাইনের অন্যপাশে। 

     

     

    দ্বিতীয়ার্ধে আর সেভাবে নিউক্যাসেল মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। আদ্রিয়ান তাই বেশিরভাগ সময়ই পার করেছেন অলস বসে থেকে। সেই সুযোগে সালাহ ৭২ মিনিটে বাড়িয়ে নিয়েছেন ব্যবধান। ডিবক্সের মাথা থেকে ফিরমিনোর বুদ্ধিদীপ্ত এক ব্যাক ফ্লিকে বল পেয়ে, নেয়ার পোস্ট থেকে ফার পোস্টে কোণাকুণি ফিনিশে গোল করেন ফিরমিনো। 

    দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য এমিল ক্রাফথ সুবর্ণ এক সুযোগ হাতছাড়া না করলে ম্যাচে আরেকটু প্রতিদ্বন্দীতা করতে পারত নিউক্যাসেল। লিভারপুলের কাছে অবশ্য এসব কিছুই টেকেনি। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে তৃতীয় দল হিসেবে টানা দুই মৌসুম লিভারপুল শুরু করেছেন প্রথম পাঁচ ম্যাচ জিতেই। আর ১৪ জয়ে প্রিমিয়ার লিগে একটানা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটাও গড়া হয়ে গেছে তাদের।