ওয়াটফোর্ডকে দুই হালি গোল দিয়ে নতুন রেকর্ড সিটির
রেকর্ড ভাঙাগড়াকে যেন ছেলেখেলাই বানিয়ে ফেলেছে পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। প্রতিনিয়তই প্রিমিয়ার লিগে নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে বা ভাঙছে সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে বড় জয়ে আরও দুই রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছে গার্দিওলার দল। ৮-০ গোলের জয়ে প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথমার্ধের সবচেয়ে বড় লিড (৫-০) এবং দ্রুততম সময়ে পাঁচ গোল করার রেকর্ড এখন সিটির।
সিটিজেনদের রেকর্ডের দিনে স্ট্রাইকার সর্জিও আগুয়েরোও ঢুকে গেছেন ইতিহাসে। মাত্র তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে যেকোনও এক মাঠে গোলের সেঞ্চুরি করলেন 'কুন', তার সামনে আছেন কেবল ওয়েইন রুনি (১০১) এবং থিয়েরি অঁরি (১১৪)।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ওয়াটফোর্ড কিছু বুঝে ওঠার আগেই লিড নেয় সিটি। আত্র ৫২ সেকেন্ডে কেভিন ডি ব্রুইনের দুর্দান্ত ক্রসে পা ছুঁয়ে দলকে লিড এনে দেন ডেভিড সিলভা, প্রিমিয়ার লিগে এই মৌসুমের দ্রুততম গোলের রেকর্ড এখন সিটি অধিনায়কেরই। ব্যবধান দ্বিগুণ করতেও সময় নেয়নি তারা। ৬ মিনিটে প্রতি-আক্রমণের সময় রিয়াদ মাহরেজকে ডিবক্সে ফাউল করে বসেন ওয়াটফোর্ড গোলরক্ষক বেন ফস্টার। ১২ গজ থেকে গোল করতে ভুল করেননি আগুয়েরো। সিটির পরের গোল এসেছেন দ্বিতীয় গোলের কারিগর মাহরেজের পা থেকেই।
১২ মিনিটে তার ফ্রিকিক ওয়াটফোর্ড মিডফিল্ডার টম ক্লেভারলির মাথায় লেগে জড়ায় 'হর্নেটস'দের জালে। মিনিট পাঁচেক পর আবারও ওয়াটফোর্ডের জালে বল পাঠায় সিটি। ১৬ মিনিটে হেড করে গোল করেন বের্নার্দো সিলভা। গোলের বন্যা বইয়ে দিলেও থামেনি সিটি।
দুই মিনিট পর আবারও গোল, আগুয়েরোর ক্রসে পা ছুঁয়ে গোলদাতাদের তালিকায় ঢুকে যান নিকোলাস অটামেন্ডি। প্রথমার্ধে আরও দুই গোল করতে পারত সিটি। ৩২ মিনিটে আগুয়েরোর শট প্রতিহত হয় বারপোস্টে, প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সিলভার শট লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ফস্টার। প্রথমার্ধ শেষের বাঁশিতে যেন হাল ছেড়ে বাঁচে কিকে সানচেস ফ্লোরেসের দল।
প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও গোলের দেখা পায় সিটি। ৪৯ মিনিটে আগুয়েরোর পাসে লব করে ফস্টারকে পরাস্ত করেন বের্নার্দো। ক্যারিয়ারে আগে কখনও জোড়া গোলের দেখা না পাওয়া বের্নার্দো আজ করলেন হ্যাটট্রিক। ৬২ মিনিটে ডি ব্রুইনের পাস থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
বের্নার্দোর হ্যাটট্রিকের মিনিটখানেক পর আবারও গোল করতে পারত সিটি, কিন্তু এবার মাহরেজের শট প্রতিহত হয় ক্রসবারে। কিন্তু ঠিকই গোলের অষ্টক পূরণ করেছে সিটি। ৮৫ মিনিটে দুর্দান্ত এক একক প্রচেষ্টায় গোল করেন ডি ব্রুইন। পুরো ম্যাচে সিটির আক্রমণ ছিল তাকে কেন্দ্র করেই, শেষটাও করলেন তিনিই। ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে টানা জয়ের রেকর্ডটা ১২-তে নিয়ে গেল সিটি, এই ১২ ম্যাচে ৪৪ গোল করেছে সিটিজেনরা। সিটির বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচেই ৬ বা তার বেশি গোল হজম করেছে ওয়াটফোর্ড।