• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    দুর্দান্ত ফেরায় শেষ হাসি দশজনের আর্সেনালের

    দুর্দান্ত ফেরায় শেষ হাসি দশজনের আর্সেনালের    

    প্রিমিয়ার লিগ

    ফলাফল আর্সেনাল ৩-২ অ্যাস্টন ভিলা


    ২০১৯-২০ প্রিমিয়ার লিগের প্রতি ম্যাচেই রক্ষণের সমস্যা বেশ ভুগিয়েছে আর্সেনালকে। ওয়াটফোর্ড, বার্নলির মত দলের বিপক্ষেও গোল হজম করেছে 'গানার'রা। অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে এমিরেটসের এই নড়বড়ে রক্ষণের জন্য আরেকটু হলেই হারতে বসেছিল আর্সেনাল। কিন্তু পুরো মৌসুমে আর্সেনালকে বাঁচানো পিয়ের-এমেরিক অবামেয়াং আবারও হয়ে আসলেন উনাই এমেরির দলের ত্রাণকর্তা। গ্যাবনিজ স্ট্রাইকারের শেষদিকের গোলে দু'বার পিছিয়ে পড়েও ভিলাকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল।

    এমিরেটসে অবশ্য জয়টা হয়তো সহজেই পেতে পারত আর্সেনাল। ২ মিনিটেই অভিষিক্ত বাকারি সাকার চমৎকার পাসে ভিলা গোলরক্ষক টম হিটনকে একা পেয়ে গিয়েছিল রাইটব্যাক অ্যাইন্সলি মেইটল্যান্ড-নাইলস। কিন্তু গোলের সামনে থেকেও বল বাইরে মেরেছেন তিনি। প্রথমার্ধে অবশ্য ছেড়ে কথা বলেনি ভিলাও। ৪ মিনিটেই প্রতি-আক্রমণে জন ম্যাকগিনের শট আর্সেনাল গোলরক্ষক বার্নড লেনো ফিরিয়ে না দিলে হয়তো তখনই লিড নিতে পারত প্রিমিয়ার লিগের নবাগত দল। অবশ্য লেনোকে প্রথমার্ধে ঠিকই পরাস্ত করেছিলেন ম্যাকগিন।

     

    মেইটল্যান্ড-নাইলসকে লাল কার্ড দেখাচ্ছেন রেফারি জন মস

     

    ২০ মিনিটে আনওয়ার এল-গাজির ক্রসে পা ছুঁয়ে দলকে লিড এনে দেন তিনি। ডিবক্সের বাইরে থেকে ছুটে এসে ক্রসে পা ছোঁয়ালেও ম্যাকগিনকে মার্কই করেননি ডেভিড লুইজ বা সক্রেটিস। গোলের পরই ৫-৪-১ ফর্মেশনে খেলতে থাকা ভিলার রক্ষণ ভাঙ্গতে রীতিমত গলদঘর্ম হয়েছে আর্সেনালের। প্রথমার্ধের শেষদিকে নিজেদের জন্য কাজটা আরও কঠিন করে ফেলেন নাইলস। ৪২ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে দশজনের দলে পরিণত হয় আর্সেনাল। একজন বেশি নিয়ে গোলের একাধিক সুযোগ পেয়েছিল ভিলা, কিন্তু আর্সেনাল দূর্বল রক্ষণভাগকে পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি গ্রিলিশ, ম্যাকগিনরা। সেজন্য চড়া মাশুলই দিতে হয়েছে তাদের।

    ৫৮ মিনিটে মাতেও গুয়েনদুজিকে ডিবক্সে ফেলে দিয়ে আর্সেনালকে পেনাল্টি উপহার দেন ভিলার এঙ্গেলস। ১২ গজ থেকে অবামেয়াং নয়, পেনাল্টি নিতে এগিয়ে আসেন নিকোলাস পেপে। আর্সেনালের জার্সিতে গোলের খাতা খুলতে ভুল করেননি তিনি। কিন্তু সমতায় ফেরার স্বস্তি একেবারেই দীর্ঘস্থায়ী হয়নি আর্সেনালের। মাত্র মিনিট দেড়েক পর জ্যাক গ্রিলিশের ক্রসে সক্রেটিস এবং লেনোকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান ওয়েসলি। ৬৮ মিনিটে জয় নিশ্চিত করতে পারতেন ত্রেজেগে, কিন্তু ডিবক্সের ভেতর থেকে তার শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দিয়েছেন লেনো।

     

    জয়সূচক গোলের পর উদযাপনে ব্যস্ত অবামেয়াং

     

    প্রথমার্ধের মত দ্বিতীয়ার্ধেও অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ভিলার ফরোয়ার্ডরা। ভিলার মত ভুল করেনি আর্সেনাল, ম্যাচের মিনিট দশেক বাকি থাকতে সমতায় ফেরে তারা। ৮১ মিনিটে আর্সেনালের কর্নার ক্লিয়ার করতে ভুল করে ভিলার রক্ষণভাগ, বাঁ-প্রান্তে বল পেয়ে দারুণ চিপে হিটনকে পরাস্ত করেন ক্যালাম চেম্বার্স। ৮৪ মিনিটে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করেন অবামেয়াং। ডিবক্সে বাইরে থেকে দুর্দান্ত ফ্রিকিকে আর্সেনালকে প্রথমবারের মত এনে দেন লিড।

     

     

    অবশ্য শেষ পর্যন্ত একেবারে খালি হাতে নাও ফিরতে হতে পারত ভিলার। ৮৯ মিনিটে হুরিহানের শট ডিবক্সে সক্রেটিসের হাতে লাগলেও পেনাল্টির বাঁশি দেননি রেফারি, 'ভিএআর'-এর শরণাপন্ন হয়েও বদল হয়নি সিদ্ধান্ত। শেষ পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে আনল আর্সেনাল। আজকের জয়ে ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চার-এ উঠে আসল এমেরির দল।