• লা লিগা
  • " />

     

    জয়েও বার্সাকে স্বস্তি পেতে দিল না মেসির ইনজুরি শঙ্কা

    জয়েও বার্সাকে স্বস্তি পেতে দিল না মেসির ইনজুরি শঙ্কা    

    লা লিগা

    ফলাফল বার্সেলোনা ২-১ ভিয়ারিয়াল


    ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে জয়টা দরকার ছিল বার্সেলোনার। অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়ের খোঁজ না পেলেও ঘরের মাঠ স্বস্তি যোগাচ্ছিল তাদের। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে জয়টাও এলো। কিন্তু স্বস্তিটা আর খুঁজে পাওয়া হলো না বার্সার। মৌসুমে  প্রথমবারের মতো একাদশে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু প্রথমার্ধের পর আর মাঠে নামা হয়নি তার। ইনজুরি শঙ্কায় মাঠ ছেড়েছেন তিনি। 

    এই মৌসুমের অনুশীলনের প্রথমদিনই মাংসপেশির ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছিলেন মেসি। এরপর ফিরেছিলেন গত সপ্তাহে। আগের দুই ম্যাচ খেলেছেন বদলি হিসেবে। গতকালই বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন। আস্তে আস্তে করে গুছিয়ে ওঠার প্রক্রিয়াটা আবার পিছিয়ে গেল মেসির। তিনি অবশ্য কতোদিনের জন্য মাঠে বাইরে যাচ্ছেন সেটা জানা যায়নি এখনও।

    ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে জিতলেও তাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছে না ভালভার্দের দল। ব্যথা নিয়েই মেসি প্রথমার্ধ শেষ করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আর মেসিকে নিয়ে ঝুঁকি নেননি ভালভার্দে, ‘লা পুলগা’র বদলে নামিয়ে দেন ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড উসমান ডেম্বেলেকে।

     

    ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়ছেন লিওনেল মেসি

     

    অবশ্য ইনজুরিতে পড়ার আগেই বার্সাকে লিড এনে দিতে সাহায্য করেছেন মেসি। ৬ মিনিটে তার বুদ্ধিদীপ্ত কর্নারেই ভিয়ারিয়ালের দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক গলে হেডে বল জালে পাঠান আঁতোয়া গ্রিযমান। শুরুতেই গোল খেয়ে কিছুটা বেকায়দায় পড়ে যায় ভিয়ারিয়াল। অগোছালো ‘ইয়েলো সাবমেরিন’দের বিপক্ষে ব্যবধান দ্বিগুণ করতেও সময় নেয়নি বার্সা। ১৫ মিনিটে ডিবক্সের প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে অবিশ্বাস্য এক আগুনে শটে ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক সার্জিও আসেনহোকে পরাস্ত করেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার আর্থার মেলো।

     

     

    বার্সার মিডফিল্ডারের গোল এতটাই দুর্দান্ত ছিল, গোল হজমের পর তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভিয়ারিয়াল অধিনায়ক সান্তি কাজোরলা নিজেও। দুই গোলের লিড নেওয়ার পর কিছুটা ঢিমেতালেই খেলতে থাকে বার্সা। সুযোগ পেয়ে মাঝমাঠের দখল নিজেদের করে নেয় ভিয়ারিয়াল। ৩২ মিনিটেই ম্যাচে ফিরতে পারত তারা, কিন্তু জেরার্ড মরেনোর শট দারুণভাবে ফিরিয়ে দেন বার্স গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগান। অবশ্য প্রথমার্ধেই ম্যাচে ফিরেছিল ভিয়ারিয়াল।

     

    আর্থারের গোল উদযাপন করছেন বার্সার ফুটবলাররা 

     

    ৪৩ মিনিটে ডিবক্সের প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান কমান কাজোরলা। ২০০৮-০৯ মৌসুমের পর এবারই প্রথম লা লিগার প্রথম ছয় ম্যাচেই গোল হজম করল বার্সা। প্রথমার্ধের শেষদিকে ম্যাচে ফেরা ভিয়ারিয়াল দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চেপে ধরে বার্সাকে। মেসির অভাবে বার্সার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি চোখে পড়েছে স্পষ্টভাবে। ভুল পাসে দ্বিতীয়ার্ধের একাধিকবার পজেশন হারিয়েছেন সার্জিও বুস্কেটসরা। ৪৯ মিনিটে আর্থারের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে ডিবক্সের সামান্য বাইরে থেকে শট নেন কাজোরলা। কিন্তু এবার স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন টের স্টেগান।

    ৬০ মিনিটে আবারও সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল ভিয়ারিয়াল। কিন্তু গোলের সামনে থেকে শট গোলে রাখতে পারেননি মরেনো। মিনিট দশেক পর ভিয়ারিয়ালের পরের সুযোগটি পেয়েছিলেন কার্ল টোকো-একাম্বি, কিন্তু দুর্দান্ত ট্যাকেলে তাকে শটই নিতে দেননি জেরার্ড পিকে। আক্রমণে সুবিধা করতে বার্সার ১৬-বছর বয়সী তরুণ সেনসেশন আনসুমান ফাতিকে নামিয়ে দেন ভালভার্দে।

    নামার পর থেকে ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত ভিয়ারিয়ালের রক্ষনভাগকে রীতিমত নাচিয়ে ছেড়েছেন তিনি। ৮১ মিনিটেই গোল পেতে পারতেন ফাতি, কিন্তু তার শট চলে যায় আসেনহোর গোলের সামান্য বাইরে দিয়ে। শেষ দশ মিনিট প্রতি-আক্রমণে খেলা বার্সা আক্রমণের নিউক্লিয়াস ছিলেন ফাতিই। ক্ষীপ্র গতি, দুর্দান্ত ড্রিবলে গোলের একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও আসেনহোকে আর পরাস্ত করা হয়নি বার্সার। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের দুই গোলেই লিগে তৃতীয় জয় পেল বার্সা।