• সাফ অনুর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়শিপ
  • " />

     

    ভুটানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৮

    ভুটানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৮    

    গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন নেপালকে হারানোর পর মালদ্বীপের বিপক্ষে ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল ভুটান। সাফ অনুর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপের বড় চমকও ছিল তারা। তবে সেমিফাইনালে আর কোনো চমক ঘটতে দেয়নি বাংলাদেশ। ভুটানকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের যুবারা।

    ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। অন্য সেমিফাইনালে মালদ্বীপকেও তারা ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছে। এর আগে গ্রুপপর্বে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ, সে ম্যাচ শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ভাবে।  

    কাঠমান্ডুতে শুরু থেকে ভুটানকে দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে ৩২ মিনিটের ভেতর তিন গোল করে খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নিয়ে নেয় পিটার টার্নারের দল। ১৬ মিনিটে প্রথম গোল এসেছে লং থ্রো থেকে। মাঠের ডানপাশ থেকে নেওয়া লম্বা থ্রো ডিবক্সে গিয়ে পড়লে ডিফেন্ডার তানবির হোসেন হেড করে বল ঢুকিয়ে দেন ভুটানের জালে।

    এর এগারো মিনিট পর প্রতি আক্রমণে দ্বিতীয় গোল পায় বাংলাদেশ। মোহাম্মদ ফাহিম মোর্শেদ নিজের অর্ধ থেকে এগিয়ে গিয়েছিলেন অনেক দূর, এরপর ডিবক্সের ভেতর বাম পাশে তিনি বল ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে। ভুটান গোলরক্ষক কাছের পোস্ট ফাঁকা রেখে বেরিয়ে এসেছিলেন অনেকটাই। সেই সুযোগে কাছের পোস্টে নিচু শটে গোল করেন তিনি। দুই ফাহিমের কাঁধে ভর করে দুই গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩২ মিনিটে মারাজ হোসেন বল পেয়েছিলেন মিডফিল্ডে। সামনে ছিল ফাঁকা জায়গা। দৌড়ে গেছেন। গোলের ২৫ গজ সামনে গিয়ে থেমেছেন, সেখান থেকেই গোল করেছেন।

    দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য কিছুটা সুবিধা করতে পারছিল বাংলাদেশ। তবে সেটা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি। বাংলাদেশ গোলরক্ষক শান্ত কুমারকেও খুব বেশিকিছু করতে হয়নি ম্যাচে। শেষে বাংলাদেশকে স্বস্তি যুগিয়েছে দিপক রায়ের গোল। ৮৭ মিনিটে ফাহিম মোর্শেদের বদলি হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে ডীবক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের দুর্দান্ত এক শটে গোল পেয়েছেন তিনিও।

    ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৮ কোচ  বলছেন দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ইচ্ছা করেই ধার কমিয়ে এনেছিল তার দল। ফাইনালের আগে ছেলেদের ক্লান্তি দূর করাও নাকি লক্ষ্য ছিল অ্যান্ডু পিটার টার্নারের, "শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা আজ দুর্দান্ত ছিলাম। আমরা নিয়ম মেনে খেলেছি। আমরা কাউণ্টার, কাউন্টার অ্যাটাক দুটোতেই ভালো ছিলাম।"

    "আমরা যদি একই ধাঁচে খেলতাম তাতে হয়ত ক্লান্তি জেঁকে বসত, পরে রক্ষণে খালি জায়গা তৈরি হত। আমরা ওদের খেলতে দিয়েছি। এরপর ওদের তৈরি করা ফাঁকা জায়গা দিয়ে সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করেছি দ্বিতীয়ার্ধে।"

    এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টে গোল হজম করেনি। বাংলাদেশ অধিনায়ক ও ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাত এভাবেই কাটিয়ে দিতে চাইছেন ফাইনালটা। ২৯ সেপ্টেম্বর একই মাঠে ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে খেলে ভারত ও বাংলাদেশের অবস্থা একই। দুইদলের কেউই গোল হজম করেনি। দুই দলই করেছে এগারোটি করে গোল। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশ রানার আপ হয়েছিল লটারিতে।