সাকিবের দারুণ বোলিংয়ে জয় দিয়েই গ্রুপ পর্ব শেষ করল বার্বাডোজ
স্কোর
ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ২০ ওভারে ১৩৪/৮ (সিমন্স ৬০, মানরো ২৩; সাকিব ২/২৫, গার্নি ২/১৪)
বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ১৯.৪ ওভারে ১৩৫/৩ (চার্লস ৫৫, হেলস ৩৩, সাকিব ১৩; নিশম ১/২৬)
বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস সাত উইকেটে জয়ী
প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। সাকিব আল হাসানের দল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা ছিল পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে যাওয়ার লড়াই। ব্যাট হাতে তেমন কিছু করতে না পারলেও বল হাতে আজও জ্বলে উঠেছেন সাকিব। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে সাত উইকেটে হারিয়ে গ্রুপ পর্ব শেষ করল বার্বাডোজ।
আগের ম্যাচের মতো আজও সাকিবকে দিয়েই বোলিংয়ের শুরুটা করেছিলন বার্বাডোজ। প্রথম ওভারেই উইকেটের দেখা পান সাকিব। পঞ্চম বলে ফেরান জিমি নিশমকে। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সাকিবের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২ রান করা নিশম। প্রথম ওভারে সাকিব দিয়েছেন ৪ রান। দ্বিতীয় ওভারেও তিনি দিয়েছেন চার রান।
১৫ তম ওভারে নিজের তৃতীয় ওভার করতে ফেরেন সাকিব। ওভারের চতুর্থ বলে সিমন্স তাকে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছয় মেরেছিলেন। পরের বলেই অবশ্য সিমন্সকে ফিরিয়েছেন সাকিব। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছে তিনি, ফেরার আগে করেছেন ৬০ রান। এই ওভারে সাকিব দিয়েছেন সাত রান।
নিজের শেষ ওভারে কিছুটা খরুচে ছিলেন সাকিব। তার পঞ্চম বলে ছয় মেরেছেন দিনেশ রামদিন। এই ওভারে সাকিব দিয়েছেন ১০ রান। সব মিলিয়ে চার ওভারে ২৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন সাকিব। ২০ ওভার শেষে ট্রিনবাগো নাইট রাইডার্স তোলে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান।
রান তাড়া করতে নেমে বার্বাডোজের দুই ওপেনার শুরুটা দারুণ করেছিলেন। অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে অ্যালেক্স হেলস আউট হলে ভাঙ্গে ৫৪ রানের জুটি, ক্রিজে নামেন সাকিব। ব্যাট হাতে আজ তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি সাকিব। ১৪ বল খেলে করেছেন ১৩ রান, নেই কোনো বাউন্ডারিও।
১৩ তম ওভারের শেষ বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব। নিশমের বল তার ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের হাতে চলে যায়। ম্যাচ শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে শেষ ওভারে। জেপি ডুমিনি ও অ্যাশলি নার্স দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো সাকিবের দল। আগের ম্যাচে জিতেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে তারা।