বার্বাডোজের হয়ে সিপিএল শিরোপা জিতলেন সাকিব
স্কোর
বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ২০ ওভারে ১৭১/৬ (কার্টার ৫০*, চার্লস ৩৯, সাকিব ১৫; তাহির ১/২৪)
গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স ২০ ওভারে ১৪৪/৯ (কিং ৪৯, পল ২৫; রেইফার ৪/২৪)
বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ২৭ রানে জয়ী
তিন বছর আগে এই গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সকে হারিয়েই সিপিএলের প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলেন সেই সময় জ্যামাইকা তালাওয়াসের হয়ে খেলা সাকিব আল হাসান। সেই গায়ানাকে হারিয়েই দ্বিতীয়বারের মতো সিপিএল জিতলেন সাকিব। ফাইনালে ব্যাট-বল দুই বিভাগে সাকিব খুব বেশি কিছু করে না দেখাতে পারলেও ২৭ রানের জয়ে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছেন বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে। টুর্নামেন্টে টানা ১১ ম্যাচ অপরাজিত থেকেও ফাইনালে এসেই হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হলো গায়ানাকে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বার্বাডোজ। জনসন চার্লস ও অ্যালেক্স হেলস শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন। ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারের মাঝেই ওঠে ৪৩ রান। এরপর কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলে তারা। তিন ওভারের ব্যবধানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান, স্কোরবোর্ডে তখন ৭৩ রান।
রান আউটের পর একরাশ হতাশা নিয়ে ফিরছেন সাকিব
দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্রিজে নামেন সাকিব। ১২ তম ওভারে কিমো পলের দ্বিতীয় বলে সাকিব মারেন নিজের একমাত্র বাউন্ডারিটি। সাকিবকে ফিরতে হয়েছে খানিকটা দুর্ভাগ্যজনকভাবেই। ১৫ তম ওভারের চতুর্থ বলে রান আউট হয়েছেন সাকিব। জনাথন কার্টারের সাথে ভুল বুঝাবুঝির পর পলের থ্রোতে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব। ফেরার আগে সাকিব করেছেন ১৫ বলে ১৫ রান। এই কার্টারই অবশ্য শেষের দিকে ঝড় তুলেছিলেন। ৪টি চার ও ছয়ে ২৭ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। বার্বাডোজের স্কোর দাঁড়ায় ১৭১ রান।
আগের কয়েকটি ম্যাচে সাকিবকে দিয়ে বোলিংয়ের শুরু করলেও আজ সাকিব বোলিংয়ে আসেন পঞ্চম ওভারে। তার দ্বিতীয় বলেই চার মারেন ব্র্যান্ডন কিং। ঐ ওভারে সাকিব দিয়েছেন পাঁচ রান। সাকিব এরপর করেছেন একটি ওভার। ১৭ তম ওভারে তাঁকে বোলিংয়ে ফেরান বার্বাডোজ অধিনায়ক। সেই ওভারের চতুর্থ বলে ছয় মারেন পল। এই ওভারে সাকিব দিয়েছেন ১৩ রান। দুই ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি সাকিব।
ব্যাট ও বল হাতে কিছু না করতে পারলেও দিনশেষে শিরোপা উঠেছে সাকিবের হাতে। রেয়মন রেইফার চার উইকেট নিয়ে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন গায়ানার ব্যাটিং লাইনআপ। ১৪৪ রানেই থামে গায়ানার ইনিংস। পাঁচবার ফাইনালে উঠেও শিরোপা ছোঁয়া হলো না তাদের।
এবারের সিপিএলে সাকিব খেলেছেন ছয়টি ম্যাচ। রান করেছেন ১১১। বল হাতে ১৫০ রান দিয়ে নিয়েছেন চার উইকেট।