বার্বাডোজের প্লে-অফ নিশ্চিতের ম্যাচেও ব্যাটে-বলে উজ্জ্বল সাকিব
স্কোর
বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ২০ ওভারে ১৪১/৬ (চার্লস ৪৭, সাকিব ২২; স্যান্টোকি ২/২৫)
সেন্ট লুসিয়া ১৮.৪ ওভারে ১১৭( ইনগ্রাম ২৫, ভিজোয়েন ২২; ওয়ালস ৪/২৬, সাকিব ১/২০)
বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস ২৪ রানে জয়ী
আগের ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেও এক রানে হেরেছিল বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস। প্লে-অফের ভাগ্যটাও তাই ঝুলে ছিল তাদের। আজও ব্যাট-বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব, সেদিনের মতো আজ অবশ্য সেটা বৃথা যায়নি। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ও হেইডেন ওয়ালসের বোলিং তোপে সেন্ট লুসিয়াকে ২৪ রানে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে বার্বাডোজ।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বার্বাডোজ। প্রথম ওভারের শেষ বলে ওপেনিং ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলস ফিরলে ক্রিজে নামতে হয় সাকিবকে। অন্য প্রান্তে জনসন চার্লস মারমুখী থাকলেও ইনিংসের শুরুটা ধীরেসুস্থেই করেছিলেন সাকিব। ১১তম বলে এসে নিজের প্রথম বাউন্ডারি মারেন সাকিব। হারডাস ভিজোয়েনের প্রথম ওভারের শেষ বল সাকিবের ব্যাটের কানায় লেগে থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে হয় চার।
সাকিবের দ্বিতীয় চার আসে অষ্টম ওভারে জিভর রয়্যালের তৃতীয় বলে। অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলটা ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান সাকিব। এর পরের ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় সাকিবকে। ফাওয়াদ আহমেদের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে কলিন ইনগ্রামের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ফেরার আগে ২১ বলে সাকিব করেছেন ২২ রান, স্ট্রাইক রেট ১০৪। ২০ ওভারে শেষে বার্বাডোজ তোলে ৬ উইকেটে ১৪১ রান।
বল হাতে আজকেও গত ম্যাচের মতই মিতব্যয়ী ছিলেন সাকিব। বার্বাডোজের বোলিংয়ের শুরুটাও করেন তিনিই। প্রথম ওভারে দিয়েছেন মাত্র তিন রান। দ্বিতীয় ওভারে একটু খরুচে ছিলেন, তার বলে দুটি চার মেরেছেন সেন্ট লুসিয়ার দুই ব্যাটসম্যান। এই ওভারে সাকিব দিয়েছেন ১২ রান।
দ্বিতীয় স্পেলে নবম ওভারে আবার বোলিংয়ে আসেন সাকিব। প্রথম বলেই ফেরান ইনগ্রামকে। সাকিবের বল মিড উইকেটে পাঠাতে গিয়ে সাকিবের হাতেই ক্যাচ দেন ইনগ্রাম। পরের পাঁচ বলে সাকিব দিয়েছেন তিন রান। ১৫ তম ওভারে নিজের শেষ ওভার করতে আসেন সাকিব। শেষ ওভারে দারুণ বোলিং করে দিয়েছেন মাত্র ২ রান। সব মিলিয়ে ৪ ওভার বোলিং করে এক উইকেট নিয়েছেন সাকিব, দিয়েছেন ২০ রান।
৮৪ রানে চার উইকেট হারানো সেন্ট লুসিয়া তবুও জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল। শেষ পাঁচ ওভারে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তারা। এর বড় কৃতিত্বটা হেইডেন ওয়ালসের। ২৬ রানে তিনি নিয়েছেন চার উইকেট। সেন্ট লুসিয়া তাদের শেষ ছয় উইকেট হারিয়েছে মাত্র ছয় রান ও ১৯ বলের ব্যবধানে। এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে সাকিবের দল।