সাকিবের এমন পারফরম্যান্সের পরও ১ রানে হারল বার্বাডোজ
দল জিতে গেলে হয়তো ম্যাচসেরার পুরস্কারটা তিনিই পেয়ে যেতেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন, আবার সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার হিসেবে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ১ উইকেট। এত কিছুর পরেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা হেরে গেছে সাকিবের দল বার্বডোজ ট্রাইডেন্টস। ১ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে প্লে অফ নিশ্চিত হয়েছে সেন্ট কিটস অ্যন্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের। আর প্লে অফ ভাগ্য এখনো ঝুলে রইল সাকিবদের।
ব্রিজটাউনের মন্থর উইকেটে রান তোলার জন্য সংগ্রামই করতে হয়েছে ব্যাটসম্যানদের। টসে হেরে ফিল্ডিং করার পর বার্বাডোজের হয়ে নতুন বল হাতে নিয়েছিলেন সাকিব। প্রথম ওভারে তার বল থেকে কোনো রান নিতে পারেননি মোহাম্মদ হাফিজ, দ্বিতীয় ওভারে লুইস ও হাফিজ মিলে নিতে পারলেন মাত্র ৩ রান। পাওয়ারপ্লেতে আর বল করেননি সাকিব, এরপর নবম ওভারে আবারও তাকে বল দেন জেসন হোল্ডার। এবারও কোনো চার-ছয় দেননি, ছয় রান দিয়েছেন। তবে কোনো উইকেট পাননি এর মধ্যে।
সেন্ট কিটসও রান তুলতে সংগ্রাম করছিল এর মধ্যে। ১০ ওভার শেষে তুলেছিল ৬১ রান। রানের গতিটা বাড়াতে শুরু করেন শামরাহ ব্রুক্স, হেইডেন ওয়ালশের করা ইনিংসের ১৪তম ওভার থেকে নেন ১৮ রান। সেই ওয়ালশই পরে তাকে আউট করেন। সাকিব আবার যখন বল হাতে পেলেন, ম্যাচের বাকি চার ওভার। আগের তিন ওভারে যেটি পাননি, সেটি এবার পেয়ে গেলেন। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই আর্মার বুঝতে না পেরে এলবিডব্লু প্রতিপক্ষ অধিনায়ক কার্লোস ব্রাথওয়েট, সেই ওভার থেকে এসেছে মাত্র ৪ রান। ফাবিয়ান অ্যালেনের ১৩ বলে ২০ রানের ক্যামিওতে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ১৪৯ রানে পৌঁছতে পেরেছে প্যাট্রিয়টস।
এই রান তাড়া করে তৃতীয় ওভারেই জনসন চার্লসকে হারিয়ে ফেলে বার্বাডোজ। তিন নম্বরে সাকিব আসেন ক্রিজে, শুরুটা করেছিলেন হাফিজকে দিয়ে। চতুর্থ ওভারে প্রথম বল দারুণ এক কাভার ড্রাইভে মারেন চার। পরের বলটা লং অনের ওপর দিয়ে ছয়। রান তাড়ার জন্য যে শুরু দরকার, সেটা এনে দিচ্ছিলেন সাকিব। পরের ওভারে ব্রাথওয়েটের বলে চার, পরের বলেই অবশ্য রান আউট হতে হতে বেঁচে গেছেন।
এরপর সিঙ্গল ডাবলস নিয়ে স্কোরকার্ড সচল রাখছিলেন সাকিব। হাফিজকে পাওয়ার পর আরও একবার চার মারলেন, ১১ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে বার্বাডোজের রান ৮৩। এর পরেই ব্রাথওয়েটকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ক্যাচ দিলেন সাকিব। ফিরলেন ২৫ বলে ৩৮ রান করে। হেলস ফিরে গেছেন আগেই, সেই ওভারে চলে গেলেন কার্টারও। পথ হারাতে শুরু করল বার্বাডোজ। রেইমন রেইফার অবশ্য আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, শেষ ওভারে দরকার ছিল ১২। প্রথম বলেই ছয় মেরে কাজটা সহজ করে ফেলেছিলেন রেইফার, কিন্তু পরের বলে রান আউট হয়ে গেলেন। শেষ বলে দরকার ছিল ২ , কিন্তু উলটো আউট হয়ে গেলেন গার্নি। প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে কাল সেন্ট লুসিয়ার সঙ্গে জিততে হবে। সেটি হবে ভোর চারটায়।