সাকিবকে ত্রিদেশীয় সিরিজের দুঃস্বপ্ন মনে করিয়ে দিলেন কিং-মালিক
কদিন আগেই ত্রিদেশীয় সিরিজে সাকিব আল হাসানের এক ওভার থেকে ৩০ রান নিয়েছিলেন রায়ান বার্ল। কাল সিপিএলে বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে খেলতে নেমে সেই দুঃস্বপ্ন আরেকবার ফিরে এলো সাকিবের জন্য। এবার প্রতিপক্ষ গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের শোয়েব মালিক ও ব্রেন্ডন কিং সাকিবের এক ওভার থেকে নিয়েছেন ২৯ রান। ব্যাট-বল সবখানেই ভুলে যাওয়ার মতো দিন গেছে সাকিবের, সিপিএলের প্লে অফে বার্বাডোজ হেরে গেছে ৩০ রানে। অবশ্য ফাইনালে ওঠার আরও একটা সুযোগ পাচ্ছে তারা, বৃহস্পতিবারের সেই ম্যাচে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে প্রতিপক্ষ ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স।
সাকিবের শুরুটা অবশ্য বেশ ভালোই হয়েছিল। আগের দুই ম্যাচের মতো দারুণ কিছুরই আভাস দিচ্ছিলেন। প্রথম ওভারে দিয়েছিলেন মাত্র ৬ রান, পরের ওভারে ৭ রান। অবশ্য ব্রেন্ডন কিং তখনও চড়াও হওয়া শুরু করেননি। কিংয়ের ঝড় শুরু হয়ে যায় এর পরেই। সাকিব যখন দ্বিতীয় স্পেলে বল হাতে নেন, ১১ ওভার শেষে গায়ানা তুলেছে ৮৪ রান। তৃতীয় ওভারটিও দারুণ করেছিলেন সাকিব, শোয়েব ও কিং সেই ওভার থেকে নিতে পারেন মাত্র ৪ রান। কিন্তু গড়বড় হয়ে গেল শেষ ওভারে এসে। প্রথম দুই বলে দুই ছয় নেন মালিক, এরপর সিঙ্গেল। পরের বলে কিং মারেন চার, এরপরের দুই বলে আবার ছয়। এক ওভার থেকেই ২৯ রান আসে সাকিবের। ৪ ওভার শেষে দেন ৪৬ রান। ২০ ওভার শেষে ২১৮ রানের চূড়ায় উঠে যায় গায়ানা, কিং শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৭২ বলে ১৩২ রান করে। সিপিএলের ইতিহাসে এটাই সর্বোচ্চ স্কোর।
ব্যাট হাতেও সাকিব একেবারেই ব্যর্থ ছিলেন। পঞ্চম ওভারে জনসন চার্লস আউট হয়ে যাওয়ার পর নেমেছিলেন ক্রিজে। ৯ বলে ৫ রান করে মালিককে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন লং অফে। বার্বাডোজের হয়ে শেষ দিকে জোনাথন কার্টার ও জেসন হোল্ডার একটু চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমেছে, গায়ানা ম্যাচটা জিতেছে ৩০ রানে।