• দক্ষিণ আফ্রিকার ভারত সফর
  • " />

     

    রোহিতের রেকর্ড গড়ার দিনে প্রোটিয়াদের চেপে ধরেছে ভারত

    রোহিতের রেকর্ড গড়ার দিনে প্রোটিয়াদের চেপে ধরেছে ভারত    

    স্কোর 

    ভারত ৫০২/৭ ডিক্লে ও ৬৭ ওভারে ৩২৩/৪ ডিক্লে (রোহিত ১২৭, পূজারা ৮১; মহারাজ ২/১২৯) 

    দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৩১ ও ৯ ওভারে ১১/১ (ডি ব্রুইন ৫*, মার্করাম ৩*; জাদেজা ১/৩)

    জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়োজন আরও ৩৮৪ রান

     

    প্রথমবারের মতো টেস্টে ওপেন করতে নেমে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় ইনিংসেও দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের ঠিক একইভাবে ভুগিয়েছেন তিনি। তার দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতেই বিশাখাপত্তনমে চতুর্থ দিন শেষে ফাফ ডু প্লেসিদের সামনে ৩৯৫ রানের বিশাল এক লক্ষ্য দিয়েছে বিরাট কোহলির দল। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক উইকেট পড়েও গেছে ডু প্লেসিদের। ম্যাচ বাঁচাতে পঞ্চম দিনে দারুণ কিছুই করে দেখাতে হবে প্রোটিয়াদের। 

    তৃতীয় দিনশেষে ১১৭ রানে পিছিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ দিনের প্রথম ঘণ্টা হতাশাতেই কেটেছে ভারতীয় বোলারদের। কিছুতেই দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ উইকেটটা পড়ছিল না। ভারতের লিডটা ১০০ এর নিচে নামিয়ে এনেছেন সেনুরান মুথুসামি ও কাগিসো রাবাদা। শেষ উইকেটে দুইজন যোগ করেন ৩৫ রান। রাবাদাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে প্রোটিয়াদের শেষ উইকেট তুলে নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। সব মিলিয়ে এই ইনিংসে অশ্বিনের উইকেট সাতটি, রান দিয়েছেন ১৪৫। এটি টেস্টে অশ্বিনের পঞ্চম সেরা বোলিং ফিগার। 

    ৭১ রানের লিড নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন রোহিত ও মায়াংক আগারওয়াল। আগের ইনিংসের মতো অবশ্য এবার তাদের জুটিটা খুব বড় হয়নি। অষ্টম ওভারে আগারওয়ালকে ফেরান কেশভ মহারাজ। প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করা আগারওয়াল সাত রান করে আউট হন স্লিপে ফাফ ডু প্লেসির হাতে ক্যাচ দিয়ে। প্রথম ঘণ্টায় দলের লেজের প্রতিরোধের পর শুরুতেই ভারতের ওপেনিং জুটি ভাঙা; ম্যাচের ফেরার একটা আশা জাগিয়েছিলন প্রোটিয়ারা।

    রোহিত ও চেতেশ্বর পূজারায় সেই আশায় গুড়েবালি। দ্বিতীয় সেশনে এই জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিং উইকেটশূন্য রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। চা বিরতির আগে দুইজনেই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি, ভারতের লিড পার করে ২০০ রান। ভারতের মাটিতে টানা সাত ইনিংসে ফিফটি করে নতুন রেকর্ড গড়েছেন রোহিত। টেস্টে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছয়ের রেকর্ডও এখন তারই, এই ম্যাচে রোহিতের মোট ছয় ১৩টি। 

    রোহিত-পূজারাতে অসহায় দক্ষিণ আফ্রিকা

     

    দিনের শেষ সেশনের শুরুতে অবশেষে উইকেটের দেখা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভার্নন ফিল্যান্ডারের দারুণ এক লেগ কাটারে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় পূজারাকে। ফেরার আগে পূজারা করেছেন ৮১ রান। পূজারা সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন রোহিত। প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নেমে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি পেলেন রোহিত, এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডও (৩০৩) তারই। তার আগে সুনীল গাভাস্কারই শুধু ভারতের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমে এক ম্যাচে দুই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। 

    সেঞ্চুরির পর আরও মারমুখী হয়ে ওঠেন রোহিত। পিয়েটের ১৪ তম ওভারের শেষ বলে মেরেছেন টানা তিন ছয়। শেষ পর্যন্ত রোহিতের ইনিংস থামে ১২৭ রানে। মহারাজের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মতো স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন রোহিত। রোহিত ফেরার পর কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজা ও অজিংকা রাহানেরা দ্রুতগতিতে রান তুলে ভারতের লিডকে নিয়ে গেছেন ৩৯৪ রানে। বল হাতে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩০৮ রান দিয়েছেন মহারাজ, এটা টেস্টে তৃতীয় খরুচে বোলিং। 

    ৩৯৫ রান তাড়া করতে নেমে চার রানের মাথায়ই প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে দারুণ এক সেঞ্চুরি করা ডিন এলগার এবার ফিরেছেন ২ রান করে। জাদেজার বল এলগারের প্যাডে লাগলে শেষ মুহূর্তে রিভিউ নেন কোহলি। সেই রিভিউতেই এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হয়েছে এলগারকে। আলোকস্বল্পতার কারণে চার ওভার আগেই দিনের খেলা শেষ হয়। নয় উইকেট হাতে নিয়ে কাল ব্যাটিংয়ে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা, জয়ের জন্য তাদের দরকার আরও ৩৮৪ রান।