শ্রীলংকায় শেষ বলে ১ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পেল বাংলাদেশ এ
শ্রীলংকা এ ৫০ ওভারে ২২৬/৯
বাংলাদেশ এ ৫০ ওভারে ২২৭/৯
ফলঃ বাংলাদেশ এ ১ উইকেটে জয়ী
শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ৯ রান। ক্রিজে সানজামুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন। বাংলাদেশ এ দলের হাতে আর ২ উইকেট, প্রথম ২ বলে দরকার ২ রান। তৃতীয় বলে চার মারলেন সানজামুল, পরের তিন বলে দরকার তিন দরকার। পরের বলে হলো ১, এর পরের বলটা ওয়াইড। ম্যাচ টাই, দুই বলে ১ রান হলেই জয় বাংলাদেশ এ দলের। কিন্তু পঞ্চম বলে আউট হয়ে গেলেন এবাদত। ভাগ্য ভালো, সানজামুল ক্রিজে ছিলেন। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় এনে দিলেন শ্রীলংকা এ দলের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে হারের পর আজকের জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল বাংলাদেশ এ দল।
শ্রীলংকার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আজ দুর্দান্ত একটা ম্যাচই হলো। বাংলাদেশ এ দলের জন্য জয়টা অবশ্য একটা সময় সহজই মনে হচ্ছিল। শুরুতে সাইফ হাসান আউট হয়ে যাওয়ার পর জুটি বেঁধেছিলেন নাঈম শেখ ও নাজমুল হোসেন। খুব দ্রুত চল্লিশের ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন নাঈম, কিন্তু এর পরেই চোট পেয়ে নেমে যেতে হয়। শান্ত টেকেননি বেশিক্ষণ, ২১ রান করে আউট হয়ে যান করুনারত্নের বলে। তারপরও লক্ষ্যটা যখন ২২৭, বাংলাদেশ এ দল তখনও জয় দেখতে পাচ্ছিল।
আফিফ ও অধিনায়ক মিঠুনের জুটিটা মোটামুটি জমেও গিয়েছিল, দুজন তুলে ফেলেছিলেন ৪১ রান। এরপর ২৪ রান করে আউট হয়ে যান আফিফ। জুটি বাঁধেন নুরুল হাসান ও মিঠুন, দুজনের ৬৩ রানের জুটি জয়ের আরও কাছে নিয়ে যায় বাংলাদেশকে। এরপর ২৫ রান করে ফিরে যান নুরুল, আবার মাঠে আসেন নাঈম। কিন্তু হঠাৎ করেই যেন পথ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ এ দল। ৫২ রান করে ফিরে যান মিঠুন, আরিফুল হকও আউট হয়ে যান ৭ রানে। তারপরও ওভারপ্রতি রান ছয়ের বেশি দরকার ছিল না, ছিলেন নাইম শেখও। কিন্তু জয় থেকে মাত্র ১৬ রান দূরে থাকতে ৫৯ বলে ৬৮ রান করে আউট হয়ে যান নাঈম। বাংলাদেশ এ দলের হাতে তখনও অবশ্য ৩ উইকেট। শেষ দুই ওভারে দরকার ১৪ রান, কিন্তু ৪৮তম ওভারে আউট হয়ে যান আবু হায়দার। এরপর তো শেষ ওভারের ওই নাটকের পর জিতল এ দল।
তার আগে শ্রীলংকা এ দলকে ২২৬ রানে আটকে রাখার মূল কৃতিত্ব কমবেশি সব বোলারদের। আবু হায়দার রনি, এবাদত হোসেন, সানজামুল ইসলাম-সবার ইকোনমি রেট ছিল ৪ থেকে ৫ এর মধ্যে। সবাই নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট। একটি উইকেট নিলেও ১০ ওভারে মাত্র ৩৯ রান দিয়েছেন পার্ট টাইম স্পিনার সাইফ হাসান। রাহী আর আফিফ হোসেনও নিয়েছেন একটি করে উইকেট।