• ইউরো বাছাইপর্ব
  • " />

     

    রেকিয়াভিকে আইসল্যান্ডের রেকর্ড ফুরোল ফ্রান্সের কাছে

    রেকিয়াভিকে আইসল্যান্ডের রেকর্ড ফুরোল ফ্রান্সের কাছে    

    বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২০১৩ সালে স্লোভেনিয়ার কাছে সবশেষ হেরেছিল আইসল্যান্ড। এরপর ছয় বছর ধরে অপরাজিত ছিল তারা। এই সময়ে বিশ্ব দেখেছে আইসল্যান্ডের উথান, শুনেছে ভাইকিংসের ক্ল্যাপ। রেকিয়াভিকে ছয় বছর ধরে অপরাজিত থাকার পর বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের কাছেই হারতে হলো আইসল্যান্ডকে। ইউরো বাছাইয়ের ম্যাচে গ্রুপ 'এইচের' ম্যাচে ফ্রান্স জিতে ফিরেছে ১-০ ব্যবধানে। তাতে ইউরো ২০২০ এর মূল পর্বে খেলাটা হুমকির মুখে পড়ে গেছে গতবারের কোয়ার্টার ফাইনালিস্টদের।  

    পল পগবা, কিলিয়ান এমবাপ্পে, হুগো লরিস ছিলেন না। লরিসের জায়গায় নেমেছিলেন স্টিভেন মাঁদাদা। শেষ মুহুর্তে ইনজুরিতে পড়েছিলেন এনগোলো কান্তেও। মুসা সিসোকো নিয়েছিলেন ফ্রান্সের মিডফিল্ডের ভার। ফ্রান্সের জন্য কাজটা শুরুতে কিছুটা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। ম্যাচের ভাগ্য শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ হয়েছে পেনাল্টি থেকে করা অলিভিয়ের জিরুর গোলে।

    ম্যাচের ৬৪ মিনিটে অ্যান্টোয়ান গ্রিযমান আইসল্যান্ডের আরি স্কুলাসনের ট্যাকেলে পড়ে বেশ নাটকীয়ভাবেই পড়ে গিয়েছিলেন আইসল্যান্ডের বক্সে। রেফারি তাতে বাজিয়েছেন পেনাল্টির বাঁশি। রেফারির সিদ্ধান্ত অবশ্য পছন্দ হয়নি আইসল্যান্ড ফুটবলারদের। গিলফি সিগুর্ডসনদের তুমুল বিরোধীতাও অবশ্য কাজে আসেনি।

    ফ্রান্সের শেষ দুই ম্যাচে পেনাল্টি মিস করেছিলেন গ্রিযমান। এবার জিরুই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সফলও হয়েছেন। ফ্রান্সের জার্সিতে ৩৭ তম গোল পেয়েছেন তিনি। জয়টা এক গোলের হলেও ফ্রান্স পুরো ম্যাচেই দাপট দেখিয়েছে। গ্রিযমান একাধিক বার গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। ফ্রান্সও পুরোটা সময় আক্রমণে মনোযোগী হলেও গোলটাই পাচ্ছিল না শুধু।

    তবে দিনশেষে তিন পয়েন্টে সব ভুলে যাওয়ার কথা ফ্রান্সের। ঘরের মাঠে আইসল্যান্ডকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। ভাইকিংসদের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফেরা যে সহজ কথা নয় জয় নিয়ে ফিরলেও সেটা টের পেয়েছে ফ্রান্স।

    গ্রুপের অন্য ম্যাচে তুরস্ক আলবেনিয়াকে হারিয়েছে ১-০ ব্যবধানে। ৭ ম্যাচ শেষে এই গ্রুপের শীর্ষ স্থানে আছে তারাই। সমান ১৮ পয়েন্ট নিয়ে হেড টু হেডে এগিয়ে থেকে ফ্রান্সকে টপকে গেছে তুরস্ক। গ্রুপের পরের ম্যাচেই দেখা হয়ে যাচ্ছে দুইদলের।  গ্রুপের শীর্ষ দুই দল যাবে ইউরোর মূল পর্বে। বাকি আর তিনটি করে ম্যাচ। ১২ পয়েন্ট নিয়ে আইসল্যান্ডের সম্ভাবনা তাই এখন অনেকটাই ফিকে।

    আইসল্যান্ড রেকর্ড হারালেও নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলেছে অ্যান্ডোরা। বাছাইপর্বে এতোদিন ৫৫ ম্যাচ খেলে একটিও জয়ের মুখ দেখেনি তারা। ইউরো বাছাইয়ে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম জয়ের অপেক্ষা অবশেষে ফুরিয়েছে তাদের। গ্রুপের আরেক ম্যাচে মলদোভাকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।