ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত সাইফে বাংলাদেশ এ দলের লংকা-জয়
বাংলাদেশ এ ৫০ ওভারে ৩২২/৯
শ্রীলংকা এ ২৪.৪ ওভারে ১৩০/৬
ফলঃ ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে বাংলাদেশ এ ৯৮ রানে জয়ী
সাইফ হাসান ব্যাট করতে পারেন, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট অনুসরণ করলে সেটা আপনার জানা থাকার কথা। তবে গত কিছুদিনে নিজেকে বল হাতেও আবিষ্কার করছেন নতুন করে। শ্রীলংকা এ দলের বিপক্ষে আজ পেয়েছেন সেঞ্চুরি, পরে পেয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে তাই ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ৯৮ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ এ দল। ২-১ ব্যবধানে জিতে তাই দেশে ফিরছেন মিঠুনরা।
কলম্বোর ম্যাচে আজ বাংলাদেশ এ দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার সাইফ ও নাঈম শেখ। নাঈম আগের দিনের মতো আজও পেয়ে যান ফিফটি, ২২ ওভারের মধ্যে ১২০ রান তুলে ফেলেছিলেন দুজন। এরপর একটু অদ্ভুতভাবেই অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ডের জন্য আউট হয়ে যান নাঈম, ফেরেন ৭৬ বলে ৬৬ রান করে। নাজমুল হোসেন শান্ত এরপর ২ রান করেই আউট হয়ে যান আমিলা আপোনসোর বলে। এনামুল হক বিজয় আজও ব্যর্থ, ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। ১৫৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ এ দল।
সাইফ এরপরেই মিঠুনকে নিয়ে রানের চাকা এগিয়ে নিতে থাকেন তরতর করে। দুজন ৯৯ রান যোগ করেন মাত্র ৭১ বলে। এর মধ্যে সেঞ্চুরি পেয়ে গিয়েছিলেন সাইফ, এরপর চড়াও হতে গিয়ে আউট হয়ে যান। তার আগে ১২টি চার ও তিনটি ছয়ে ১১০ বলে করে ফেলেছেন ১১৭ রান। মিঠুনও এরপর ৩৫ বলে ৩২ রান করে ফিরে গেছেন। আফিফ, নুরুল হাসানরা শেষ দিকে ছোট কিছু ক্যামিও খেলেছেন, তবে খুব ঝড় তুলতে কেউ পারেননি। বাংলাদেশ দলের ৩০০ অবশ্য নিশ্চিত হয়ে গেছে এর মধ্যেই। শেষ দিকে সানজামুল ৭ বলে ১২ রান করায় ৫০ ওভার শেষে ৩২২ রান করেছে বাংলাদেশ এ দল।
এই রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই হোঁচট খেয়েছে শ্রীলংকা এ দল। আফিফ হোসেন আজ বল হাতে পেয়েছিলেন শুরুতে, দ্বিতীয় ওভারেই নিশাংকাকে ফিরিয়ে দিয়ে করেছেন বাজিমাত। ভিরাক্কুডিকে পঞ্চম ওভারে গিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন আবু হায়দার রনি। এরপর কামিন্ডু মেন্ডিস ও আশান প্রিয়াঞ্জন একটু হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন। দুজনের ৬৪ রানের জুটি ভেঙেছেন সাইফ, প্রিয়াঞ্জনকে ৩৪ রানে ফিরিয়ে। তিন ওভার পর প্রিয়ামাল পেরেরাকেও ফিরিয়েছেন সাইফ, পরের ওভারে আশান বান্দারাকে আউট করে নিজের প্রথম উইকেট নিয়েছেন এবাদত। তবে শ্রীলংকাকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন এক ওভার পর, এবাদতের বলে সাইফকে ক্যাচ দিয়ে ৫৫ রানে ফিরে গেছেন কামিন্ডু মেন্ডিস। ৬ উইকেটে তখন ১২৯ রান হারিয়ে ফেলেছে লংকানরা, ম্যাচ জয়ের আশা অনেকটাই শেষ। খানিক পরেই বৃষ্টি নামায় হার নিশ্চিত হয়ে গেল ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে, শেষ পর্যন্ত আর খেলাই শুরু হতে পারেনি।