• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    সৌরভ গাঙ্গুলির কাছ থেকে 'বাড়তি সুবিধা' পাওয়ার আশা বিসিবির

    সৌরভ গাঙ্গুলির কাছ থেকে 'বাড়তি সুবিধা' পাওয়ার আশা বিসিবির    

    ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলি শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত হলে ‘বাড়তি সুবিধা’ পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বিসিবি। গাঙ্গুলির ‘বাঙালি’ পরিচয়ের কারণে তার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ক্ষেত্রে আলোচনায় নিজেরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। 

    লোধা কমিটির সুপারিশে রদবদলের পর এই প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পাচ্ছে বিসিসিআই। সেখানে সাবেক ভারত অধিনায়ক গাঙ্গুলি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। ১৪ অক্টোবর বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয় জমা দেওয়ার কথা তার। তবে সেখানে গাঙ্গুলি ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন না। 

    গাঙ্গুলির সঙ্গে বিসিবির অনেকের ‘আত্মার সম্পর্ক’ আছে জানিয়ে জালাল বলেছেন, “বিসিসিআইয়ের সাথে বিসিবির সম্পর্ক সবসময়ই ভাল। আগে যারা ছিলেন, এখন যারা আছেন- তাদের সাথে সম্পর্ক ভাল বিসিবির। সৌরভ গাঙ্গুলি বাঙালি, সাবেক ক্রিকেটার- (সে হিসবে) অবশ্যই বাড়তি সুবিধা পাব। ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আরও বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করব।”

    “আমাদের অনেকের সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে তার। এখানে অনেকবার খেলে গিয়েছে। সে খুবই কমবয়সী (বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্টের মতো পদের জন্য)। আমাদের এখানে অনেকের সাথে তার আত্মার সম্পর্ক আছে ব্যক্তিগতভাবে, সেগুলো কাজে লাগবে।” 

    টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পরও দীর্ঘদিন দ্বিপক্ষীয় সিরিজের জন্য ভারতের আমন্ত্রণ পায়নি বাংলাদেশ, ২০১৭ সালে এসে অবশ্য বাংলাদেশ খেলে এসেছে একটি টেস্ট। এ বছর বাংলাদেশ যাবে আবারও। মূলত দ্বিপক্ষীয় সিরিজের ক্ষেত্রে দরকষাকষিতে বিসিবির সুবিধা হবে বলে আশা করছেন জালাল, “ভারতের কাছ থেকে আগে যেসব খেলা পাইনি, দ্বিপক্ষীয় সিরিজ কিংবা জুনিয়র পর্যায়ে ‘এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’, সেগুলো তার সাথে ‘ফ্রি’লি আলোচনা করতে পারব, এসব সুবিধা আছে।” 

    অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট হলে সবার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকে নজর দেবেন বলে জানিয়েছেন গাঙ্গুলি, “আমি সিওএ-কে (কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস) তিন বছর ধরে অনুরোধ করছি। প্রথম এই কাজটিই করব আমি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের আর্থিক ব্যাপারে দেখভাল করা।” 

    “বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হোক আর না হোক, বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব আছে অবশ্যই। আর্থিক দিক দিয়ে ভারত ক্রিকেটের পাওয়ার-হাউস। অবশ্যই এটি চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে।”