• ক্রিকেট, অন্যান্য
  • " />

     

    বহিষ্কার হওয়ার তিন বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেড কোচ পদে ফিরলেন সিমন্স

    বহিষ্কার হওয়ার তিন বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেড কোচ পদে ফিরলেন সিমন্স    

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেড কোচ পদে ফিরে এসেছেন ফিল সিমন্স। ২০১৬ সালে তাদেরকে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি জেতানোর পর বিতর্কিতভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সিমন্সকে। ২০১৯ বিশ্বকাপের আগ দিয়ে তখনকার কোচ রিচার্ড পাইবাসকে সরানোর পর থেকে হেড কোচের পদ শূন্য ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে কাজ করছিলেন ফ্লয়েড রেইফার। 

    রেইফার, সিমন্স ও ডেসমন্ড হেইন্স ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কোচ নির্বাচনের সংক্ষিপ্ত তালিকায়। এদের মাঝ থেকে সিমন্সকে বেছে নেওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে বোর্ড প্রেসিডেন্ট রিকি স্কেরিট বলেছেন, “ফিল সিমন্সকে ফেরানোর মধ্য দিয়ে যে শুধু পূর্বের একটা ভুল সংশোধন করা হলো সেটি নয়, আমার মনে হয়, ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ সঠিক মানুষকেই নির্বাচন করেছে। আমি ফ্লয়েড রেইফারকেও তার কঠোর পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।” 

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ২৬টি টেস্ট ও ১৪৩টি ওয়ানডে খেলা সিমন্স কোচিং ক্যারিয়ারে শুরুতে দায়িত্ব নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের। সে পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তাকে, এরপর আয়ারল্যান্ডের হয়ে কাটিয়েছেন দীর্ঘ সময়। ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তাদের দায়িত্বে ছিলেন তিনি, এ সময়ে আয়ারল্যান্ড খেলেছিল তিনটি বিশ্বকাপ। তার আমলের উত্থানই পরে পথ দেখিয়েছিল ২০১৭ সালে তাদের টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ক্ষেত্রে। 

    আয়ারল্যান্ড ছেড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তিনি, তবে শেষটা সুখকর ছিল না সেবার। এরপর আফগানিস্তানকে নিয়ে বিশ্বকাপে গিয়েছিলেন সিমন্স, অবশ্য বিশ্বকাপের আগে আসগর আফগানকে অধিনায়কত্ব সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে টুইটারে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের পর ছেড়ে দিয়েছেন সে দায়িত্বও। 

    এর আগেই ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডজের নতুন প্রেসিডেন্ট হয়ে এসেছিলেন স্কেরিট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচদের আলাদা করে কাজে লাগানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। তার আগের প্রেসিডেন্টের আমলে সিমন্সকে বহিষ্কার করা, পাইবাসকে নিয়োগ করার মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠেছিল বিতর্ক। এবার কোচের বিজ্ঞপ্তিতে বলেই দেওয়া হয়েছিল, "ওয়েস্ট ইন্ডিজের উত্তরাধিকার নেই, এমন কারও আবেদনের প্রয়োজন নেই।" 

    সিমন্সকে নিয়োগ করতে পেরে খুশি ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট ও কোচ নির্বাচন প্যানেলে থাকা জিমি অ্যাডামসও, “দৃঢ় এক নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ফিলের হেড কোচের পদে দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে আমি খুশি। আন্তর্জাতিক দলে যে নেতৃত্বের স্কিল ও অভিজ্ঞতা লাগবে এগিয়ে যেতে, সেটি যে তার আছে, সে বিষয়ে আমার কোনও সংশয় নেই। তাকে সহায়তা করার জন্য মুখিয়ে আছি আমি।”