টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছেলে ও মেয়েদের সমান প্রাইজমানি দেবে অস্ট্রেলিয়া
পুরুষদের প্রাইজমানির চেয়ে মেয়েদের ক্রিকেটের প্রাইজমানিটা বরাবরই কম। আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আইসিসির গতকালের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মেয়েদের প্রাইজমানিও ছেলেদের প্রায় কাছাকাছি করা হবে। আইসিসির এমন ঘোষণার পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া উইমেনস দলকে ঘরের মাঠের টুর্নামেন্টে প্রাইজমানি দেওয়া হবে ছেলেদের সমানই।
গতকাল আইসিসির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী বছরের মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে দল চ্যাম্পিয়ন হবে, তারা পাবে ১ মিলিয়ন ডলার, রানার্সআপ পাবে ৫ লাখ ডলার। গতবারের চেয়ে এবারের টুর্নামেন্টের মত প্রাইজমানি বাড়ানো হয়েছে ২.৬ মিলিয়ন ডলার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় ৩২০ শতাংশ বেশি। ২০২১ সালে মেয়েদের ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ২ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩.৫ মিলিয়ন ডলার।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী মনু শহনি বলছেন, নারী-পুরুষের সমতা আনতেই প্রাইজমানি বাড়িয়েছেন তারা, ‘মেয়েদের ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্যই প্রাইজমানিটা বাড়ানো হয়েছে। আমরা চাই মেয়েদের ক্রিকেটের ভিত আরও মজবুত হোক। শুধু প্রাইজমানি না, আমরা চাই মেয়ে শিশুরা এই খেলায় আসতে আগ্রহী হয়ে উঠুক, বেশি স্পন্সরও ও ব্রডকাস্টাররাও আসুক।
আইসিসির এমন উদ্যোগকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাদের প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ছেলেদের দলের সমানই অর্থ পাবে, ‘আমরা ছেলেদের ও মেয়েদের দলের সমতা রক্ষা করতে চাই। ছেলেদের দল টুর্নামেন্ট থেকে যে অর্থ পাবে, মেয়েরাও তার সমান পাবে। সেটা ফাইনাল, সেমিফাইনাল কিংবা গ্রুপ পর্ব যেখানেই হোক না কেনো। মেয়েদের দলের খেলার মান ও স্কিল দুটাই আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। তারা তো টানা ১৮ ওয়ানডে জিতে বিশ্বরেকর্ডও করেছে। এটা বলতে আমি গর্ববোধ করি যে অস্ট্রেলিয়াতে ক্রিকেটই মেয়েদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা।'